শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
Verified আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৪/০৯/২০২৪ ০৯:২৮পি এম

শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং শেখ হাসিনার পতনের জন্য মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বর্তমানে চাকরিতে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের সেনা সদস্যরাও সেই আন্দোলনে সহায়তা করেছেন এবং আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

শনিবার রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সেমিনারের সহযোগিতায় ছিল ‘রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম’ (আরআরএসএফ)।

আরআরএসএফ-এর রিসার্চ ডাইরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশ গঠনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দেশপ্রেমিক ও নিবেদিত মানুষ প্রয়োজন, যারা সঠিকভাবে দেশকে গড়ে তুলতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে পুরোপুরি সংযুক্ত হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, প্রবাসী, ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়োগের মাধ্যমে সংস্কার কাজ পরিচালনা করা সম্ভব।

অপরাধীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, বিগত সরকার সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। মেধাহীন নিয়োগের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে।

লে. কর্নেল মোশাররফ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত সব স্তরের সেনা সদস্যরা এই আন্দোলনের অংশ ছিলেন। অথচ এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আমরা অবহেলিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আবু সাইদের হত্যার পর মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আন্দোলনের সূচনা করেন।

অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বলেন, বিগত সময়ে সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করার বহু প্রচেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ অন্যতম। ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, যার বিচার এখনো হয়নি। এসব অপরাধের বিচার না হলে স্বাধীনতা বারবার বিপন্ন হবে।

অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, "আমরা সৌভাগ্যবান যে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের ভেতরে স্থায়ী উপস্থিতি ঘটাবার আগেই বাস্তবতায় ফিরে আসতে পেরেছি।" তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল নয়, বরং টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।”

সশস্ত্র বাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে লে. কর্নেল (অব.) আবু রুশদ বলেন, “সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ অফিসারদের পুনর্বহাল করতে হবে। এটাই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের একমাত্র উপায়।”

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ