আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/১২/২০২৪ ০৯:৫৭এ এম
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: দেশের স্বার্থের বিপক্ষে নাকি প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পটি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্ক ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, প্রকল্পটি দেশের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ার বদলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হতে পারে।
বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে প্রেরণ করে, যা ছিল দেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এর মাধ্যমে সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবায় অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
অনেক অর্থনীতিবিদ এবং প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আর্থিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাঁদের ভাষ্যমতে, স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল নেই, এবং ইতোমধ্যে স্যাটেলাইট-১ সম্পূর্ণরূপে লাভজনক হতে পারেনি।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ হবে ভবিষ্যৎ টেকনোলজির অংশ, যা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন মাত্রা দেবে। এটি চালু হলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত আরো শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে।
তবে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কতটা পরিকল্পনা এবং গবেষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করেন, যদি প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করা যায়, তাহলে এটি জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয়ে পরিণত হতে পারে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, স্যাটেলাইট-২ নির্মাণের জন্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে, এ ব্যয়ের সঠিক যৌক্তিকতা এবং সম্ভাব্য আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে নাকি এটি পরিণত হবে আরেকটি বিতর্কিত প্রকল্পে। দেশের জনগণ এবং বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে এবং প্রকল্পটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তব অবদান রাখবে।