শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/১২/২০২৪ ১২:৪৮পি এম

ড. ইউনূসের ঘোষণা: নির্বাচনের পর ফিরে যাব নিয়মিত কাজে, তরুণদের নিয়ে গড়ব নতুন বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের ঘোষণা: নির্বাচনের পর ফিরে যাব নিয়মিত কাজে, তরুণদের নিয়ে গড়ব নতুন বাংলাদেশ
আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শুক্রবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।

ব্রিটিশ সাময়িকীটি জানায়, ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বাংলাদেশের নাম সম্প্রতি ইকোনমিস্ট এর 'কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার' পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এরই মধ্যে ড. ইউনূসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।

সাক্ষাৎকারে যখন ড. ইউনূসকে ২০২৫ সালে নির্বাচন শেষে তার পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, "আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এই কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ করছিলাম এবং সেটি উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম এবং সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে। আমি ফিরে গিয়ে আমার নিয়মিত কাজ, যেটা আমি সারা জীবন ধরে করেছি, তাতে ফিরে যেতে চাই। তরুণরা আমার কাজকে ভালোবাসে। আমি সেই আন্দোলনে ফিরে যেতে চাই, যেটা আমি বিশ্বব্যাপী গড়েছি।"

ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে যে দেশকে পরিবর্তন করার শক্তি রয়েছে, তা তিনি খুবই আশাবাদীভাবে দেখেন। "বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না," তিনি বলেন, "তরুণরা ধর্ম সম্পর্কে নিরপেক্ষ এবং তারা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। তারা শুধু এক দেশ পরিবর্তন করবে না, বরং পুরো পৃথিবীকে বদলে দিতে সক্ষম।"

তরুণদের প্রতি তার বিশেষ মনোযোগের কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের রয়েছে দারুণ ক্ষমতা এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ।" তিনি আরও বলেন, "তিন তরুণ, যারা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা এখন আমার ক্যাবিনেটে আছেন এবং দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা গত শতাব্দীর তরুণ নয়, তারা এই শতাব্দীর তরুণ এবং তাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।"

ড. ইউনূসের এই মন্তব্যগুলি প্রমাণ করে, বাংলাদেশের তরুণদের শক্তি এবং তাদের দ্বারা দেশ ও সমাজের পরিবর্তন করার সামর্থ্য সারা বিশ্বে আলোচিত হতে শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ