আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/১২/২০২৪ ০৮:০৪পি এম
বিএনপি নেতার বাড়িতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ভাঙচুর: আতঙ্কে পরিবার, লুটপাটের অভিযোগ
গোয়ালন্দে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে শুক্রবার রাত ১০টায় বিএনপির এক নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো. আইয়ুব আলী খান অভিযোগ করেছেন যে, গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. আজিম ইসলাম এবং তার সহযোগীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে ছাত্রদল নেতা আজিমসহ ১০-১২ জন একসঙ্গে আইয়ুব আলী খানের বাড়ির গেট খুলতে চাপ সৃষ্টি করেন। গেট না খোলায় তারা দরজায় আঘাত করতে থাকে এবং পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্তদের হাতে দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এই সময় তারা আইয়ুব আলী খানের নামে গালাগাল করে এবং তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। হামলাকারীরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করে এবং নগদ এক লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়।
আইয়ুব আলী খানের স্ত্রী মোছা. হোসনারা বেগম জানান, হামলার সময় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। “তারা গেট খুলতে বললে আমি অস্বীকার করি। তারপর তারা আমাকে মারধর করতে থাকে এবং ঘরের সব কিছু ভেঙে দেয়,” বলেন তিনি।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. ইয়াহিয়া খান জানান, ছাত্রদল নেতা আজিম তার বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে গিয়েছিল। তবে বড় ভাই বাড়িতে না থাকায় পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে তারা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ছাত্রদল নেতার পরিকল্পনা ছিল তাদের হত্যার।
প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম জানিয়েছেন, রাতে কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি ঘুম ভেঙে গিয়ে গেট খুলতে দেখেন। "তারা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে পালাচ্ছিল," বলেন মর্জিনা।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মো. আজিম ইসলাম ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, রাতের পরেই তার আইয়ুব আলী খানের সঙ্গে কথা হয়েছিল এবং পরে তিনি ওয়াজ মাহফিলে চলে গিয়েছিলেন। হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এ বিষয়ে মামলার কার্যক্রম চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ এলাকার পরিবেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।