বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০৫/০২/২০২৫ ০২:০২এ এম

জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা সংঘর্ষ!

জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা সংঘর্ষ!
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি; পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এসময়, শিক্ষার্থীরা ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। ইতিহাস বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূইয়া বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি কোটা একটি প্রিভিলেজ, এটি কোনো অধিকার নয়। পোষ্য কোটা বাতিল না হলে, আমরা এখানে অবস্থান নেবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেজবাহুল হক বলেন, “এটি এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করছে। আমাদের দাবি পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করা হোক, কারণ এটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।”

এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে মিছিল করেছেন। অফিসার সমিতির সভাপতি মো: আব্দুর রহমান বাবুল জানান, “পোষ্য কোটা একটি প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য দেয়া হয়। এটা আমাদের অধিকার।” তিনি আরো বলেন, “এই কোটার সুবিধা পুনর্বহাল না হলে, আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”

সামগ্রিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানান, “আমি এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

শিক্ষার্থীরা ভিসিকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন। এর আগে, গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে একটি সমঝোতা সস্তাব করেন। সমঝোতার আওতায়, পাস নম্বর ৩৫% থেকে বাড়িয়ে ৪০% করা এবং পোষ্য কোটার সুযোগ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ