আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/১২/২০২৪ ১০:১৪এ এম
শোবিজের অন্ধকার: মাদক কাণ্ডে চাঞ্চল্য, শীর্ষ অভিনেত্রীদের নাম উঠে এলো
শোবিজ অঙ্গনে আবারও মাদকের কালো ছায়া। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেলদের নাম উঠে আসার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের বিনোদন জগৎ। শুধু মাদক সেবনই নয়, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন
সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের পর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজন তারকার মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। গ্রেপ্তারকৃত অরিন্দম রায় দীপের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তিশা ও সুনিধির মতো শীর্ষ তারকাদের নাম বেরিয়ে আসে।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গোপন ব্যবসা
তদন্তে জানা যায়, একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়া হতো। এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন দীপ, যিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এ গ্রুপের মাধ্যমে এমডিএমএ, এলএসডি, কুশসহ বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাদক সংগ্রহ ও বিতরণ করা হতো।
মাদক কারবারে জড়িত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা
ঢাকার অভিজাত এলাকার ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের মধ্যে মাদক আসক্তি ও কারবারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। গুলশান, বনানীর রেস্টুরেন্ট ও সিসা বারের মতো স্থানে তারকাদের মাদক সেবনের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট।
গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি
৪ ডিসেম্বর ডিএনসি অভিযান চালিয়ে তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়, যার সূত্র ধরে শোবিজ তারকাদের নাম উঠে আসে। তবে এ ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী ডিএনসির কর্মকর্তা রাহুল সেনকে হঠাৎ সরিয়ে দেওয়ায় তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
তারকাদের জীবনধারার অন্ধকার দিক
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, শোবিজ তারকারা স্লিম থাকার জন্য মাদকের দিকে ঝুঁকছেন। ধীরে ধীরে তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ছেন।
তারকাদের প্রতিক্রিয়া
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টয়া বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমি এখনো কোনো ধরনের ডাকে পাইনি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।" অন্যদিকে, সাফা কবির, তিশা ও সুনিধি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নতুন মাদক প্রবণতা
তরুণ সমাজের মধ্যে এমডিএমএ, এলএসডি ও কুশের মতো মাদক ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব মাদক সাধারণত ভেপ বা ক্যান্ডির মতো আকারে সেবন করা হয়। এ মাদকগুলোর চালান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে দেশে আসে।
শেষ কথা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।"