মানিকগঞ্জে ভাষা শহীদ রফিক সেতুর টোলপ্লাজায় অগ্নিসংযোগ
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সিঙ্গাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ভয়ে টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। এ সময় কমপক্ষে আধ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যান চলাচল। এরপর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ টোল আদায় করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হচ্ছে সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সেতুটিতে টোল আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত সিংগাইর থানা এবং মানিকগঞ্জ সদর ও হরিরামপুর উপজেলার বেশিরভাগ পণ্যবোঝাই ট্রাক এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। নিয়মিত টোল দিতে গিয়ে হয়রানি হতে হয় ট্রাকচালক ও সবজি ব্যবসায়ীদের।
বিক্ষুব্ধ জনতা আরও বলেন, শহীদ রফিক সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করার জন্য একাধিকবার আন্দোলন করা হয়। কিন্তু বিগত সরকারের কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণে আন্দোলনে কোনো সুফল আসেনি। এই সেতুটিতে স্থায়ীভাবে টোল আদায় বন্ধে বর্তমান সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সিঙ্গাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে।