বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৮/১২/২০২৪ ০৯:২৫এ এম

ইজতেমা ময়দানে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: নিহত ৩, আহত শতাধিক

ইজতেমা ময়দানে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: নিহত ৩, আহত শতাধিক
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তুরাগ নদীর তীর। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এমন রূপ নেয় যে, ইজতেমার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পরিণত হয় সহিংসতার মঞ্চে।

নিহত ও আহতদের পরিচয়
সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন:

আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া
বেলাল (৬০), ঢাকার দক্ষিণ খান
তাজুল ইসলাম (৭০), বগুড়া
আহতদের তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

আ. রউফ (৫৫), বি-বাড়িয়া
মজিবুর রহমান (৫৮), ময়মনসিংহ
জহুরুল ইসলাম (৩৮), টঙ্গী
সাহেদ (৪৪), চট্টগ্রাম
আরিফ (৩৪), গোপালগঞ্জ
তরিকুল (৪২), নরসিংদী
এছাড়া অনেকের নাম ও পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের স্থানীয় টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদপন্থিরা রাত ৩টার দিকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় সাদপন্থিরাও। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

সাদপন্থিদের বক্তব্য
সাদপন্থিদের প্রভাবশালী নেতা মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, “ইজতেমা ময়দান এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। জুবায়েরপন্থিদের হামলায় আমাদের এক ভাই শহিদ হয়েছেন। অনেক জুবায়েরপন্থি অস্ত্রসহ আটক হয়েছে।”

হাসপাতালে হতাহতদের অবস্থা
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাফিজুল ইসলাম জানান, “এ পর্যন্ত একজন নিহত ও অসংখ্য আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।”

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামে একজন মারা যান। তাঁর বাড়ি ঢাকার বেড়াইদ এলাকায়।

সংঘর্ষের পরবর্তী পরিস্থিতি
তৃতীয় নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম। সংঘর্ষের ফলে আহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া
ইজতেমা ময়দানের মতো একটি পবিত্র স্থানে এমন রক্তাক্ত সংঘর্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

এই সংঘর্ষ শান্তিপূর্ণ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ