বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৫/০১/২০২৫ ১০:৩৪এ এম

চুরি হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার: জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

চুরি হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার: জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকারের এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ন্যায়বিচার দাবি করছে। তিনি বলেন, “যারা জনগণের সম্পদ চুরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। যদি আত্মসাৎ থেকে লাভবান হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সেই অর্থ দেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।”

লন্ডনের ‘দ্য সানডে টাইমস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে বলেন, “তিনি হয়তো লন্ডনে সুনির্দিষ্ট অর্থ ও সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, তবে এখন তিনি তা জানেন। জনগণের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় অর্থ চুরি চিহ্নিত ও উদ্ধার করার কাজ চলছে। এই সহযোগিতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি পূর্ববর্তী সরকারের অনিয়মের মাত্রা তুলে ধরেছে। এই প্রকল্পে জনগণের সম্পদের অপব্যবহার আর্থিক স্থিতিশীলতায় বাঁধা সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতায় আমরা জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করব।”

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের উদ্যোগ
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, “দুর্নীতি শুধু দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাই নষ্ট করে না, এটি জনগণের জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলে। আমরা আশাবাদী যে, যুক্তরাজ্যসহ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

সরকারের এমন উদ্যোগ জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রেস উইং।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ