আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৫/০১/২০২৫ ১০:২৭এ এম
ছাগল–কাণ্ড’: এনবিআর-এর সাবেক সদস্য মতিউর ও তাঁর স্ত্রীর গ্রেপ্তার, বিলাসবহুল জীবনের নতুন মোড়
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে ‘ছাগল–কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি–মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিতর্কিত এই ‘ছাগল–কাণ্ড’ শুরু হয় গত কোরবানি ঈদে, যখন মতিউরের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত একটি ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনতে ১৫ লাখ টাকা খরচ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর মতিউর রহমানের পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। জানা যায়, তাঁদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ প্রচুর সম্পদ রয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, ছেলে তৌফিকুর রহমান এবং মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে। এর আগে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মতিউর ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক।
২০২৪ সালের ২৩ জুন থেকে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্তের অংশ হিসেবে ২৫ জুন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মতিউর ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোন আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাব এবং শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
পরে মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয় এবং সোনালী ব্যাংকের সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।
এখন এই গ্রেপ্তার ও মামলা পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এই ‘ছাগল–কাণ্ড’ এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের পেছনে আর কী লুকিয়ে রয়েছে।