আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৪/০১/২০২৫ ১২:১৯পি এম
রাজনীতি উত্তপ্ত: নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য
নির্বাচনের আবহ ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো একের পর এক দিচ্ছে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য। অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে, কত দ্রুত সংস্কার হবে, এবং কবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে—এসব প্রশ্ন এখন জাতির কেন্দ্রে।
বিএনপি: দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন চায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে।”
এবি পার্টি ও মির্জা ফখরুলের বক্তব্য
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। আমরা সংস্কার চাই, আবার দ্রুত নির্বাচনও চাই। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব।”
এলডিপি: অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
জামায়াতের দৃষ্টিভঙ্গি
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, “জরুরি সংস্কার শেষ করে জনগণের ভালোবাসার নেতাদের নির্বাচিত করতে হবে। আমানতের অপব্যবহার করলে তা জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি: দ্রুত রোডম্যাপ চাই
সাইফুল হক বলেন, “সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি।”
সিপিবি ও বাম জোটের প্রস্তাব
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “নির্বাচনকে কালো টাকা, পেশিশক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করতে সংস্কার প্রস্তাব প্রয়োজন। দ্রুত তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
ইসলামী আন্দোলন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির দাবি
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে টেকসই সমাধান সম্ভব।”
বিশ্লেষণ:
রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। দলগুলো একদিকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আগামী দিনগুলোতে নির্বাচন নিয়ে আরও তীব্র বিতর্ক ও আলোচনা দেখা যাবে।