বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১২/০১/২০২৫ ০৮:৩২পি এম

আগামী নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক: প্রধানমন্ত্রী ইউনূসের সাহসী উদ্যোগ ও নরওয়ের সমর্থন

আগামী নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক: প্রধানমন্ত্রী ইউনূসের সাহসী উদ্যোগ ও নরওয়ের সমর্থন
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের মাইলফলক হিসেবে গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং একটি গৌরবময় অধ্যায় করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আজ রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসনের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলার একটি উদাহরণ।

নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নরওয়ের প্রতি বাংলাদেশের প্রতি বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি নরওয়েজিয়ান টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণফোনের সাফল্যের উদাহরণ টেনে বলেন, এটি বিগত বছরগুলিতে টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।

তিনি প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশকে এশিয়ায় নরওয়েজিয়ান পণ্যের আঞ্চলিক বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, দেশের বিপুল যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান।

নরওয়ের সমর্থন ও প্রশংসা
রাষ্ট্রদূত গুলব্র্যান্ডসন বৈঠকে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের একটি বিশেষ চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচেষ্টার প্রতি নরওয়ের দৃঢ় সমর্থনের কথা উল্লেখ ছিল।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “নরওয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছে। আমরা জাহাজ নির্মাণশিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তর খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আহ্বান
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় নরওয়ের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

রাষ্ট্রদূত গুলব্র্যান্ডসন ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক কর সংস্কার এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়েও বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ফোরামে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ