বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৮/১২/২০২৪ ১১:১২এ এম

নাশকতাকারীরা দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি

নাশকতাকারীরা দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নাশকতাকারীরা কোনভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে সরকার। বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে।

আজ বিকেলে চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভাটির আয়োজন করে মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এ সময়ে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সচিবালয় ঘেরাও, সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো এবং পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত উস্কে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে। এমনকি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার দৃঢ় সংকল্পে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তবে দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।”

তিনি সবাইকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

নাশকতাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি
ধর্ম উপদেষ্টা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নাশকতাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ
ধর্ম উপদেষ্টা ড. জামাল নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী ও সরল প্রকৃতির মানুষ। মাদ্রাসার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি এই জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ বিঘা জমি দান করে গেছেন। তাঁর এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন নির্মোহ দেশপ্রেমিক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ বেতনের চাকরি ত্যাগ করে তিনি মাত্র আড়াই হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাঁকে নিয়ে একটি স্মৃতিচারণমূলক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।”

অনুষ্ঠানে অতিথিদের অংশগ্রহণ
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডা. শাহাদত হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মদী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা চট্টগ্রামের কল্পলোক আবাসিক এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ