বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৫/১২/২০২৪ ০৬:৫৩পি এম

উন্মুক্ত পরীক্ষায় উপসচিব নিয়োগসহ ১৫ দফা দাবি, ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাধানের আলটিমেটাম

উন্মুক্ত পরীক্ষায় উপসচিব নিয়োগসহ ১৫ দফা দাবি, ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাধানের আলটিমেটাম
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। তারা শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সব পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী পদে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন এবং উপসচিব পুলে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজিব উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক রুহুল কাদির, অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল হাসান ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদির প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে তাজিব উদ্দিন বলেন, “বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তার পক্ষে আমরা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, ক্যাডার বহির্ভূত করার পরিকল্পনা অত্যন্ত হতাশাজনক। এটি শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করবে। তাই আমরা এই সুপারিশকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সংস্কারের নামে এ ধরনের আত্মঘাতী পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

১৫ দফা দাবি:
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পক্ষ থেকে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

বিসিএস সাধারণ শিক্ষাকে ক্যাডার বহির্ভূত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা।
সকল প্রকার কোটা-বৈষম্য তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে উপসচিব পদে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ।
মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে স্ব স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন।
প্রশাসন ক্যাডারের পরিবর্তে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান।
৬ স্তরের পদসোপান প্রতিষ্ঠা এবং অধ্যাপক পদকে ৩য় গ্রেডে উন্নীতকরণ।
প্রতিটি শিক্ষাস্তরে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি।
নিয়মিত রুটিনে বছরে দুইবার সকল টায়ারে পদোন্নতি।
শিক্ষা বিভাগের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
অর্জিত ছুটি ও বদলি নীতিমালা কার্যকর করা।
ক্যাডারে পার্শ্ব প্রবেশ বন্ধ এবং শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদা নিশ্চিত করা।
আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও হুঁশিয়ারি:
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্য ক্যাডার সংগঠনের নেতারাও এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা ক্যাডার বহির্ভূতকরণের উদ্যোগ প্রতিহত করতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে, ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। দাবিগুলো মানা না হলে ৩১ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষা ক্যাডারের বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চলমান আন্দোলনের প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করা হয়। এ ধরনের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের মাধ্যমে তারা তাদের যৌক্তিক দাবির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ