রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১০/০২/২০২৫ ০৭:২৯পি এম

২৪ ঘণ্টার অভিযানে দেশজুড়ে গ্রেফতার ১৫২১ জন, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র!

২৪ ঘণ্টার অভিযানে দেশজুড়ে গ্রেফতার ১৫২১ জন, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র!
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চালানো ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এবং অন্যান্য অভিযানে দেশজুড়ে মোট ১৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযানে কী উদ্ধার হলো?

পুলিশ সদর দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, এই অভিযানে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ম্যাগাজিন এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জন এবং অন্যান্য মামলা ও অভিযানে ১১৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—

একটি বিদেশি পিস্তল

দুটি ম্যাগাজিন

১১ রাউন্ড গুলি

ছয়টি শটগান কার্তুজ

১০টি ককটেল

এক ডজনেরও বেশি দেশীয় ধারালো অস্ত্র

অপারেশন ডেভিল হান্ট: কেন এই অভিযান?

গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাগুলো। এর আগে গাজীপুরে ছাত্রদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনা ঘটে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। হামলার পরপরই সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর অভিযানের ঘোষণা দেয়।

৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিনের অভিযানে শুধুমাত্র গাজীপুরেই ৪০ জনসহ সারা দেশে ১৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেশজুড়ে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

এই অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং অস্ত্রবাজি দমনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং প্রতিটি শহরে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ এই অভিযানের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এতে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হবেন না। তবে, সমালোচকরা বলছেন, অভিযানের নামে বিরোধীদের দমন করার চেষ্টা করা হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ