আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৫/০২/২০২৫ ০১:৪৭পি এম
বগুড়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় যুবদল নেতা রাশেদুল মিঞাকে (২৬) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল হান্নানসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনার সূত্রপাত:
গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাশেদুলকে আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে একদল লোক ধাওয়া করে। রাশেদুল একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে তাকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর উত্তেজনা:
রাশেদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল হান্নানসহ ৬-৭ জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। রাশেদুল পাকুল্যা ইউনিয়ন যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অভিযোগ:
স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই রাশেদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত রাশেদুল মিঞা মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।
অভিযুক্তের বক্তব্য:
তবে, হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
পুলিশের ভূমিকা:
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন্নবী জানান, রাশেদুলের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে, মৃত্যুর পর বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য রাশেদুলের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক:
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাশেদুলের পরিবার ও স্থানীয় যুবদল কর্মীরা।