আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০২/২০২৫ ০৯:৫৮এ এম
অমর একুশে: শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা নিবেদন
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে সংগঠনের নেতারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, “আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বায়ান্নতে রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছিল। আজও আমাদের সেই চেতনাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”
রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা নিবেদন
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্যান্য বিচারকরা। একইসাথে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের শ্রদ্ধা
তিন বাহিনী প্রধান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কমিশনাররা শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনার, র্যাব মহাপরিচালক, ডিজিএফআই, বিজিবি ও এনএসআই মহাপরিচালকগণও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এই দিনে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে, যারা ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অমর একুশে আমাদের ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা জোগায়।