ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন, তদন্তে আসেন পরিচালক
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন, তদন্তে আসেন পরিচালক  
 
 
 
বাদশা আলমগীর, স্টাফ রিপোর্টার (কুষ্টিয়া) : 
 
 
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত আরজুর বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ ও ভোগান্তির কারণে সেবা গ্রহীতাদের গণপিটেশন ভিত্তিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আসে তদন্তে। 
 
 
১৭ ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দুর্নীতি মুক্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও  বিক্ষোভ করে হাউজিং এস্টেটের ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী  বাসিন্দারা। এ সময় তারা গৃহায়নের কুষ্টিয়া অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তসলিমা জান্নাত আরজু  এর স্থায়ী বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি করে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে ভুক্তভোগীরা জানায়,  এই কর্মকর্তা অত্যন্ত বদ মেজাজি মানুষের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলেন না এবং ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে চান না। জরুরি সেবার প্রয়োজনে  অফিসে আসলে ঠিক মতন তাকে পাওয়া যায় না। তাই তারা  এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি গণপিটেশন দেওয়া হয়। 
 
 
সেবা গ্রহীতাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালক প্রশাসন আলমীর হোসেন তদন্তে আসেন ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলতে। এসময় জাতীয় গৃহায়নের এই কর্মকর্তা জানান   
 
 সকলের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ শুনেছি এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বক্তব্য আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নেবেন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। 
 
 
 
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত আরজুর সাথে কথা বললে তিনি সেবা গ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহারের কথা অস্বীকার করলেও সেবা দিতে গাফিলতির বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। 
 
 
হাউজিং সি ব্লকের একজন ভুক্তভোগী বলেন,  আমি সাত মাস যাবত ঘুরছি। একটা নামজারির কাগজপত্র ঠিক করতে সাত মাস সময় লাগে কিনা আমার জানা নাই। প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত এর ব্যাবহার খুবই খারাপ, তার সাথে কথাই বলা যাইনা,  সে খুব রুট ব্যাবহার করে, আদেরকে মানুষ বলে মনে করেনা। ভুক্তভোগী আরাও বলেন উনার সাথে কথা বলতে আমার আত্মসম্মানে লাগে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা আপনার কাছে কোন টাকা পয়সা চেয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী বলেন, না সে আমার কাছে কোন টাকা পয়সা চাইনি বা চাইতে পারেনি বলেই হয়তো আমার কাজ হচ্ছে না, আমাকে ঘুরতে হচ্ছে। আমার কাজ কবে হবে আমি জানিনা।  
 
 
এই ভুক্তভোগীর বিষয়টি প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাতের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমাদের অফিসের এম এল এস এস একমাস আগে বদলি হয়ে গিয়েছে, তার কাছ থেকে কাগজপত্র বুঝে নেওয়া হয়নি। তাকে বারবার ফোন দেওয়া হয়েছে কিন্তু সে বলছে আসবো আসবো কিন্তু এখনো আসেনি। এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনার অফিসের এমএলএসএস কাগজপত্র আপনাকে বুঝিয়ে দেয়নি এ বিষয়টি আপনি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কিনা, তখন তিনি বলেন না আমি জানাইনি এটা আমার ভুল হয়েছে।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			 
			