סרטונים אחרונים

Noor Islam
460 צפיות · לִפנֵי 5 שעה (ות

⁣ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঘিরে দলটির তৃণমূল পর্যায়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে প্রার্থী ঘোষণা করায় টানা দুই দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্বে ঘোষিত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জোটের শরিক দলকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরসভা এলাকায় কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে যশোর–সাতক্ষীরা মহাসড়কে কাফনের কাপড় পরে বসে পড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা, এতে কিছু সময় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

সমাবেশে বক্তারা জোটের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে পুনরায় বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান। কর্মসূচি থেকে রোববার উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে বিক্ষোভ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার হলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সংসদ নির্বাচন এলেই আসনটি শরিক দলের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে বারবার শরিক দলের পক্ষে কাজ করেছেন নেতাকর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, এবার প্রাথমিকভাবে বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষণায় তৃণমূল উজ্জীবিত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এতে দল সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমাবেশ থেকে জোটের প্রার্থী প্রত্যাহার না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিএনপি নেতারা।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ তারিখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোর-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। তবে ২৪ ডিসেম্বর সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই মণিরামপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মণিরামপুর বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Noor Islam
11 צפיות · לִפנֵי 1 יְוֹם

⁣ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন কাটেনি। জোটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুললেও এখনো মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা।
ছয়টি সংসদীয় আসন নিয়ে যশোর জেলা। প্রথম ধাপে বিএনপি মণিরামপুর বাদে জেলার পাঁচটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। এদিকে জামায়াতে ইসলামী অনেক আগেই সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এনসিপিসহ কয়েকটি দলও তফসিল ঘোষণার পর একাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ফলে অন্য আসনগুলোতে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হলেও যশোর-৫ আসনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
প্রথম দফায় প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন রাজধানী ঢাকায় গিয়ে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে ধারাবাহিক বৈঠকে অংশ নেন। পরে তারা এলাকায় ফিরে এসে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করেন।
এরই মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর-৫ মণিরামপুর আসনে এম. ইকবাল হোসেনের নাম ঘোষণা করলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, এতে এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়।
তবে সেই উদ্দীপনায় ভাটা পড়ে ২৪ ডিসেম্বর। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (একাংশ)-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে পুনরায় প্রার্থী ঘোষণার খবরে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর প্রকাশের দিনই মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরদিনও বৃহত্তর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই। তবে এ সিদ্ধান্তে তৃণমূলে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে শরিক দলের মনোনীত প্রার্থী মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস বলেন, শুরুতে কিছুটা ক্ষোভ বা হতাশা থাকতেই পারে। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। তারা শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই তার সঙ্গে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, ১২ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে রশীদ বিন ওয়াক্কাস অতীতে বিএনপির সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতা এবং ইসলাম ও দেশের জন্য তার পিতার অবদানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই তাকে যশোর-৫ মণিরামপুর আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। আসন্ন নির্বাচনে এই আসনে তিনিই ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।

להראות יותר