
Imran Hossain
|Subscribers
Breaking news
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। হাতে সময় আছে আর এক সপ্তাহের মতো। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর পশুর হাটগুলো বসে গেছে। সেখানে আসা শুরু করেছে কোরবানির পশু। সঙ্গে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটও এনেছেন। যা হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিন হাট পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের মূলগেট দিয়ে ঢুকেই পশ্চিম পাশে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু। একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ে বিরাট আকৃতির মরুর তিন প্রাণী। যেখানে জটলা পাকিয়ে চতুর্দিক দিয়ে জনতা উঠ তিনটি দেখছেন। অনেকে তুলছেন ছবিও। নয় মনের বিশাল আকৃতির প্রতিটি উটের দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এখনও বেচাবিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
হাট সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, উট একটি প্রাণী নয়, বরং এটি একটি ধর্মীয় আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতি বিজড়িত উট নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে রয়েছে এক বিশেষ অনুভূতি।
উট বিক্রেতা মোহাম্মদ মন্টু হোসেন ও আলী আকবর মামা বলেন, 'মইজ্জ্যেরটেক পশুর হাটে যশোর থেকে তিনটি উট আনা হয়েছে। এগুলো দেখতে অনেকেই ভীড় করছেন।'
ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রচন্ড টেউয়ে বঙ্গোপসাগরের কয়লা বোঝায় নাভিমার-৩ লাইটার জাহাজ ও মারমেইড-৩ কার্গো তীরে আটকে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রভাবে প্রবল জোয়ারে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠানমাঝির ঘাট এলাকায় ওই দুইটি জাহাজ কুলে এসে আটকে যায়।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সদস্যরা জাহাজ দুটির নিয়ন্ত্রণে নেন বলে জানিয়েছে জাহাজটির ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান। সকাল থেকে বালু চরে আটকে থাকা জাহাজ গুলো দেখতে ভীড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। রাত গভীর হতে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির গতি আরও বাড়তে থাকে। জোয়ারের পানির ধাক্কায় জাহাজ দুটি চরে এসে আটকে যায়।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানিতে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদীর পাড় ভেঙে তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে কৃষি জমির ফসল ও ওই এলাকার মৎস্য ঘের পানিতে ডুবে গেছে।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মুষলধারে ভারি বৃষ্টিপাত ও বঙ্গোপসাগরের বৃদ্ধি পাওয়া জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে শঙ্খ নদীর পাড়। শঙ্খ নদীর পানি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে ঢোকা শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। ফলে স্বাভাবিক সময়েই জীর্ণ, শঙ্খ নদীর পাড়ের বাঁধ ভেঙে এবং উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। ফলে উপজেলার জুঁইদন্ডী বিস্তীর্ণ এলাকায় হুমকিতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ঘের, কৃষকদের ফসলও।
স্থানীয় জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান খোকা জানান, জুইঁদন্ডী ইউনিয়নের ৮ কিলোমিটার বাঁধ এখনও অরক্ষিত। বর্ষার আগে ঝুঁকিপূর্ণ শঙ্খ নদীর পাড় মেরামত না করায় পানি ঢুকছে লোকালয়ে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘেরের মাছ ও ক্ষতি হয়েছে বেশি কৃষকদের। দ্রুত মেরামত না করলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবারের।
অন্যদিকে ভাঙন তীব্র হচ্ছে পারকি সমুদ্র সৈকতে:
বেশ কয়েক বছর ধরে পারকি সমুদ্র সৈকত ভাঙছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ভাঙন আরও বেড়েছে। এ কারণে পর্যটকদের জন্য সৈকত যেমন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে, তেমনই লুসাই পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনাও ঝুঁকিতে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে সৈকতের এমন ভাঙন বাড়তেই থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙান রোধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপের দাবী জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসায়ী ও মাছের ঘেরের মালিকদের নিজস্ব অর্থয়ানে মাটি ও জিওব্যাগ ভর্তি বসানো বালুর বাঁধও টেকসই হচ্ছে না সৈকতে। পানির ধাক্কায় কিছুদিনপরই পানিতে তলিয়ে যায়। পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় স্থানীয়ভাবে পাথরের বক্ল বসানো দরকার।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পারকি সৈকতে দেখা যায়, প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্র সৈকতের ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কাছে পারকি যেমন উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে, তেমনি হুমকির মধ্যে পড়েছে সম্ভাবনাময় এই সৈকত। সৈকতের লুসাই পার্ক এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঝাউগাছের গোড়ার বালু সরে দেড় থেকে দুই ফুট বালু সরে যাওয়ায় গাছগুলোর শেকড় বেরিয়ে পড়েছে। এসব ভাঙন ঠেকাতে নিজ উদ্যোগে মাছের ঘেরের মাটি কেটে অস্থায়ী বাঁধ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
লুসাই পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. হাশিম চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েকদিনের টানা বাঁধের ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে আামদের নিজেদের অর্থয়ানে বিভিন্ন অংশে কাজ করা হচ্ছে। পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবী করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন, ‘নতুন করে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। যেটি বাস্তবায়ন করছেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। জুঁইদন্ডীর শঙ্খ নদীর পাড় ভাঙনের বিষয়টি নৌ-বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। পানি নামলে মেরামত কাজ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক।’
পারকি সমুদ্র সৈকতের ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় আমরা নতুন একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে পারকি সমুদ্র সৈকতের চিত্র।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট গুড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ব্রিজঘাট, সৈন্যরটেক, খুদ্যেরটেক, আজিমপাড়া ও মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন (সিডিএ)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম।
এস্টেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, ‘আমরা অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করেছি অনেক আগেই। সিডিএ’র জমিতে যারা দখল রয়েছেন তাঁদের অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অভিযানে অংশ নিয়েছেন সিডিএ স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ), সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী, সিডিএর সহকারী প্রকৌশলী, পেশকার ও সিএমপির পুলিশের সদস্যরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরও বিনা নোটিশে উপজেলার চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট এলাকায় কাঁচাবাজার ও সড়কের পাশের প্রায় আড়াইশত দোকান গুড়িয়ে দিয়েছিলেন সিডিএ। এবারও চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট এলাকা থেকে মইজ্জ্যেরটেক পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালায় সিডিএ।
সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ টিপু জানান, অধিগ্রহণ করা জমিটি রাস্তা নির্মাণের অবশিষ্ট জমি। এটা বাজারের কোন খাস জমি নয়। ভবিষ্যতে রাস্তা সম্প্রসারণ করার জন্য সংরক্ষণ করা ছিলো জমিটি। এলএ মামলা ও বিএস খতিয়ান মূলে জমিটির মালিক সিডিএ’র। তাই এ জমিতে থাকা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন,
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী সড়কে পথসভায় বক্তব্য রাখছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
দেশে প্রতিবছর হাজার-হাজার নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কে না জানা এবং সময়মতো এই রোগ সনাক্ত না হওয়ার কারণে মৃত্যুর হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যথাসময়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ৫ শতাধিক চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা শাখার চেয়ারম্যান ও নাক, কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ইউএসটিসি সহকারী অধ্যাপক ডা. খন্দকার আবদুল্লাহ্ আল মাহমুদ সোহেল।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা শাখার ডাইরেক্টর এডমিন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী শামীম আল মামুন, গাইনীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. কামরুননেচ্ছা রোজী, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুল ইসলাম, মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিসবাহুস সালেহীন, ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটোলজিস্ট ডা. সাহেদ আহম্মেদ, গ্রাম ডাক্তার সমিতির উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমান, সভাপতি ডা. কংসরাজ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল দাশ, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শাখার ব্যবস্থাপক রিপন বড়–য়া।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শেভরণের পথচলা। শেভরন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষদের সেবা প্রদান করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবা সংযোজন করে যাচ্ছি। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই আমরা। কাউকে আর চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হবে না। এক ছাদের নিচে সব সমস্যার সমাধান। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়। এতে প্রয়োজন আনোয়ারার মানুষের ভালোবাসা।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর সাম্পান মাঝিরা গত বন্যায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। কর্ণফুলীর কথা ভাবলেই সাম্পানের কথা আসবে। রাষ্ট্রের চোঁখে ধরা না পড়াটায় দুঃখের। সারাদেশে নববর্ষের উৎসব হয়, আগামী নববর্ষেও কর্ণফুলীর সাম্পান বাইচ থাকবে।’
ঐতিহ্যবাহী সাম্পান বাইচকে জাতীয় ইভেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর থেকে এই আয়োজনের অংশীজন হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে বন্যাতে ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হলে শতশত সাস্পান মাঝি উদ্ধার তৎপরতায় এগিয়ে এসে লাখ বানবাসী মানুষকে উদ্ধার করে। সত্যিই প্রশংসার দাবীদার মাঝিরা। এছাড়াও অনেক গুলো জায়গা অবৈধভাবে দখলের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর বিষয়ে পরিবেশ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব উদ্ধারের ব্যাপারে।’
সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পুরাতন ব্রিজঘাট খেয়া পারাপার ঘাটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় খেয়াপারাপারের ঘাট ইজারা প্রদানে সাম্পান মাঝিদের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অগ্রাধিকার প্রদান, কর্ণফুলীর ব্রিজঘাট এলাকায় একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং কর্ণফুলী নদী দখলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে নিয়ে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলা ও সাম্পান খেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলী আব্বাস, প্রধান বক্তা ডায়মন্ড সিমেন্টের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন হাকিম আলী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মির্জা ইসমাইল, বক্তব্য রাখেন আলীউর রহমান, সাঈদ খান সাগর, বেসরকারি কারা পরিদর্শক জুবায়ের আলম মানিক।
কর্ণফুলীতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন...
গুইসাপ খাওয়ার জন্য হ*ত্যা করে বস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
একসময় বাংলাদেশের বনজঙ্গল, ঝোপঝাড় ও কৃষি জমিতে প্রায়ই গুইসাপের দেখা মিলতো। কিন্তু এখন তেমন একটা দেখা যায় না৷ আজকাল এই নিরীহ উপকারী প্রাণীটি বিভিন্ন কারণে আমাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে।
নিরীহ এই প্রাণীটি বিলুপ্তির জন্য দায়ী মূলত মানুষই। গুইসাপ আমাদের তেমন একটা ক্ষতি করে না। বেশিরভাগই উপকার করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য এই প্রাণীটির অবদান সবচেয়ে বেশি। এটা আমাদের চারপাশের বিষধর সাপ খেয়ে আমাদের এদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতে ট্যুরিজমের সম্ভাবনা নিয়ে কনসালটেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় আনোয়ারা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত ৪টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা সমুদ্র সৈকত পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্পের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে এ কন্সাল্টেশন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
এসময় তিনি দেশের মধ্যে পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটন শিল্পের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটন সম্ভবনা অপার। কর্ণফুলী টানেল, টানেল সার্ভিস এরিয়া, বিভিন্ন কল কারখানাসহ এখানে পর্যটনের জন্য যেসব উপকরণ রয়েছে তাতে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ইকো ট্যুরিজম ও কৃষি ভিত্তিক ট্যুরিজমেরও সুযোগ রয়েছে এখানে। আমরা পর্যটনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছি। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করার সুযোগ রয়েছে আমরা তা করবো। আগামীতে পর্যটন শিল্পে পারকি সমুদ্র সৈকত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উমা খান কাফি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রিয়াংকা চাকমা, বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওসমান গনি, ছাত্র প্রতিনিধি মো. শাহেদুল আলম ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানির প্রতিনিধি, ট্যুরিজম বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি অফিসের প্রধান, সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশা এবং সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
স্থানীয় ও পর্যটকদের অভিযোগ, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে অবস্থিত পারকি সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয়তা দিনদিন দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়লেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বিগত দিন গুলোতে। সন্ধ্যার পরই নিরাপত্তাহীনতায় সৈকত ছাড়েন পর্যটকরা। সড়ক জুড়ে নেই কোনো বাতির ব্যবস্থা। ছিনতাইয়ের শিকার হন সৈকতের আসা পর্যটকদের। এছাড়াও প্রভাবশালীরা সরকারি খাস জমি দখল করে করেছেন বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অনেকেই এসব জমির মাটি বিক্রিও করছেন বিভিন্ন সময়েও।
জানা যায়, শুক্রবার ছাড়াও প্রতিদিন হাজারো পর্যটক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন সৈকতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য। সৈকতের আশাপাশে ভালো হোটেল, মোটেল না থাকায় এখানে আসা পর্যটকদের সন্ধ্যা নামার আগে গন্তব্য ফিরে যেতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৯ সালে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সমুদ্র সৈকতকে অত্যাধুনিক পর্যটন স্পট বানাতে পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে ১৩ দশমিক ৩৬ একর জমিতে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। তিন বছর আগে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কবে কাজ শেষ হবে, তা কেউ বলতে পারেন না।
নিজের গ্রামে প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর স্বজন-এলাকাবাসী
সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জম্মস্থান হাটহাজারী বাথুয়া গ্রামে এলেন ড. প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন এলাকাবাসী। চাঁটগাইয়া ভাষায় উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চুরি যেন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাসা-বাড়ি কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে এ চুরি ঘটনা ঘটছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে ব্যস্ততম আনোয়ারা সদর এলাকার একটি বাসা বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল চোরের কাণ্ড।
চট্টগ্রামের কেইপিজেডের সড়কে মাইক্রোবাসের দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে শফিউল আলম নামে এক চালক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
'বিরহে দিল পুড়ে ছারখার; যে আমার ইয়া রাসুলাল্লাহ সা.। আমার কেউ নেই তুমি ছাড়া, সাহারা ইয়া রাসুলাল্লাহ সা.'
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মাতব্বর ঘাটে বিভোর হয়ে গাইছেন এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশু।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জুলধা মাতব্বার ঘাটে যাত্রী পারাপাড়ের ঘাট ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঘাটের দায়িত্বরর্তরা। সোমবার সকালে ঘাটে এঘটনাটি ঘটে। এসময় ইজারাদার ও যাত্রীদের তাদের উদ্ধার করে।
আহত যাত্রী পোশাক শ্রমিক মো. তাজু উদ্দিন বলেন, প্রতিনিয়ত এ ঘাট দিয়ে কারখানায় যাতায়ত আমাদের। আজ সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বোটে উঠার আগে ঘাট ভেঙে নদীতে পড়ে গুরুতর আহত হই আমরা ৭ থেকে ১০ জনের মত। সকলে ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় চাকরি করেন। এসময় ঘাটে থাকা ইজারাদার ও যাত্রীদের সহযোগিতায় আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ করব দ্রুত ঘাটটি সংস্কার করার জন্য।
গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে ও যাত্রী এবং ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ঘাট দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার বিদেশযাত্রী, হজযাত্রী, ইপিজেডের কারখানার কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক, বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজারো চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নদী পারাপার করেন। এ ঘাটের ইজারা দেয় সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে ঘাটের কোন সংস্কার কাজ না করায় বিভিন্ন সময়ে ঘটে দুর্ঘটনাও।
পোশাক শ্রমিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময়ে ঘাট কর্তৃপক্ষ টুকটাক নিজেরা সংস্কার করলেও কিছুদিনপরই আবার ভেঙে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। জোয়ারের সময়ে কোনো রকমে যাত্রীরা পার হলেও ভাটার সময় পুরো ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় আমাদের।
জুলধা লাইফবোট ও সাম্পান মাঝি মালিক সমবায় সমিতির সদস্য ও ইজারাদারের প্রতিনিধি সালেহ আহমেদ লালু সওদাগর বলেন, ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে সিটি কর্পোরেশনকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি ঘাটের অবস্থা সম্পর্কে। আমরা প্রায় তিন লাখ টাকায় সংস্কার কাজও করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আজ সকালেও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঘাট সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় আয়োজিত সাম্পান খেলায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় কর্ণফুলী নদীর ব্রিজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মুহুর্তে পাশ্ববর্তী নৌকার সহায়তায় উদ্ধার করা হয় নৌকায় থাকা আরোহীদের।
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে যখন জীবনপাত হচ্ছে, তখনই প্রকৃতিতে চলছে অদ্ভুত এক সৌন্দর্যের প্রপাত। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ঝুমকার মতো ঝুলছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল। আর এসব ফুলকে কেন্দ্র করে আসছে প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা মিলে চট্টগ্রামের আনোয়ারার সিইউএফএল রাঙ্গাদিয়া দুই কিলোমিটার সড়কে জুড়ে।
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে কড়া রোদ উপেক্ষা করে তারুণ্যের সমাবেশে সমবেত হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে নগরের টাইগারপাস মোড়-সংলগ্ন পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সমর্থনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন।
সীমানা দখল নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কেইপিজেডের উত্তেজনা