
Últimos vídeos
চট্টগ্রামের আনোয়ারার বরুমছড়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র, নগদ টাকা, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এসময় মো. আব্দুল মজিদ (৪২) নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ছয়টায় উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম রেঞ্জারের বাড়ির পুকুর ঘাটের নিচ তুরস্কের তৈরি ১টি এক নলা বন্ধুক, ১টি এলজি, ৮ পিস কার্তুজ, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মজিদ বরুমচড়া ইউনিয়নের একই এলাকার মৃত হাজী মুসলিম আহমদ চৌধুরীর পুত্র।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সংগ্রহ এবং সরঞ্জাম এনে বাড়িতে অস্ত্র তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে এগুলো সরবরাহ করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত বাড়ির পুকুর ঘাটে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রে সরঞ্জামসহ উদ্ধার করা হয় তুরস্কের তৈরি ১টি এক নলা বন্ধুক, ১টি এলজি, ৮ পিস কার্তুজ, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, 'দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং নিজে অস্ত্র তৈরীসহ সরবরাহও করে নিজেই৷ এগুলো মনিটরিং করার জন্য বাড়ির চারিপাশে লাগিয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও যে স্থানে অস্ত্র গুলো রেখেছে সেখানেও বসিয়েছে ক্যামরা। অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীর সকল সরঞ্জামের ছবিও নিজের মোবাইলে সংরক্ষণ রেখেছে।'
তিনি আরও বলেন, অস্ত্রসহ আটককৃত চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসা করেন, আর ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র তৈরীসহ সরবরাহ এসব করেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এই কর্মসূচি করেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এরপর ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শহীদ ওয়াসিমের স্বরণে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল ছাত্রসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা করেন জেলা ছাত্রদল।
জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কামরুদ্দীন সবুজের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সি যুগ্ম আহবায়ক মো. ফিরোজ, আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, আব্দুস সবুর, এসএম নয়ন, রাশেদ উদ্দীন, শাহাদাত হোসেন, ফরহাদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সদস্য সোহান, রাসেল, সাগর, মহিন, মারুফ, জিসান, কর্ণফুলী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম, সাধারণ সম্পাদক সাকিব, পটিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন, জেলার বিভিন্ন কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাইনুল হাসান রকি, জাহেদ, এরশাদ আলম, হাশেম, ইমরান হোসেন তুষার, শোয়াইব, আশিক উল্লাহ, মিনহাজ, মিনহাজ উদ্দীন ইমন, সালমান এইচ রহমান, ইরফান, মাইনুদ্দীন হাসিব, সাইফুল, জসিম উদ্দীন, মুজিবুল হক সোহাগ, মো. মোর্শেদ, মিনহাজ, জাহেদ হাসান তারেকসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে আটকে পড়া কয়লাবাহী দুইটি জাহাজের পানির ধাক্কায় ভাঙছে উপকূলীয় এলাকার মসজিদ ও কবরস্থানসহ কোটি টাকার নির্মিত বেড়িবাঁধ। গত ২৫ জুন (বুধবার) জাহাজ দুটি সরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিন ও স্থানীয়রা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝি ঘাট এলাকায় গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে আটকে পড়া কয়লাবাহী দুইটি জাহাজের পানির ধাক্কায় ভাঙছে উপকূলীয় এলাকার মসজিদ ও কবরস্থানসহ কোটি টাকার নির্মিত বেড়িবাঁধ। জাহাজ দুটি মসজিদ ঘেঁষা কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। জাহাজের সৃষ্ট ঢেউয়ে মসজিদের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের জিও ব্যাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতবছর পুরোনো কবর থেকে উঠে এসেছে দুটি লাশের কঙ্কাল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপকূলবাসীর। পরে লাশের কঙ্কাল গুলো অন্য একটি কবরস্থানে দাফন করেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজ দুটি গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে জব্দ রয়েছে। জাহাজ দুটি বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় জোয়ার-ভাটার স্রোতে কখনো কুতুবদিয়া, কখনো মগনামাসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ভেসে বেড়ায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন, ‘জাহাজের কারণে উপকূলী বেড়িবাঁধ মারতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অব্যহতি করেছি। এগুলো দ্রুত সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনেরও জরুরীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইনি। জাহাজের কারণে স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থানসহ বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা একাধিকবার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ সরানোর জন্য সবধরণের সহযোগিতা স্থানীয় প্রশাসন সবসময় করবে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠি পেয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’
পারকির দিকে নজর নেই কারও, বাঁধ ভেঙে খাল সৈকতের চর
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্রের সংস্কারের পাশপাশি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকিতে আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এস্ কথা বলেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এ দেশের সাধারণ মানুষ। তারাই ঠিক করবে বাংলাদেশ কোন পথে চলবে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ওপরে যে কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে, বিএনপি তা বিশ্বাস করে না। আমরা জনগণের মতামত নিয়েই একটি মানবিক ও ন্যায়ের সমাজ গড়তে চাই।
তিনি বলেন, যারা গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে সুবিধা নিয়েছে, ব্যবসা করেছে, তারা আর বিএনপির ছায়ায় থাকতে পারবে না। সদস্য নবায়ন ফরমে আদায়কারীর স্বাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অনুপ্রবেশকারীর নাম থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট আদায়কারীকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলীকে নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশেষ করে আনোয়ারা উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পারকি সমুদ্র সৈকতকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। এ অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও এখনো বেশিরভাগ শিক্ষিত তরুণ বেকার, এই বেকার সমস্যা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সাগর উপকূল ঘিরে মাদকের যে কারবার , তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স থাকবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আলম খান, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য মো. সেলিম, আনোয়ারা উপজেলা যুবদলের সদস্য জিয়াউর রহমান, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, আনোয়ারা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গফুর, যুবদল নেতা আলমগীর খান, শাহ্ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম প্রমুখ।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আধুনিক, বিষমুক্ত ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়নে ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা মিলনায়তনে এই কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল রুবাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কংগ্রেসে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আবদুচ ছোবাহান, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পার্টনার প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং আবু কাউসার মোহাম্মদ সরোয়ার, স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী।
বক্তারা বলেন, কৃষকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ফিল্ড স্কুল, উত্তম কৃষি চর্চা, আধুনিক সেচ প্রযুক্তি, মানসম্মত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও ফার্মার্স সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ ধরনের কংগ্রেসে কৃষক প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী চর্চার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়।
পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস প্রশিক্ষণে ফসলের বহুমুখীকরণ, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি, কৃষি পণ্যের টেকসই ভ্যালুচেইন সৃষ্টি, অধিক ফলন উৎপাদন, প্রযুক্তি ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলজ ও সবজি খামার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ের কৃষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকববৃদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান থেকে অপসারণের দাবীতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
রোববার বিকেলে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়৷
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দীন সবুজ, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ওয়ার্ডের সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী, ছাত্র প্রতিনিধি ইমতিয়াজ জাবেদ, দেলোয়ার হোসেন মুন্না, বাহারুল বাহার, মোহাম্মদ রুবেল, ফয়সাল, আমজাদ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা অপুসহ স্থানীয়রা।
উল্লেখ, গত ৪ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে পরিষদের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।
এটি প্রকাশ হওয়ার পরই শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়ন পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এলাকার দরিদ্রদের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্ম করেছে। আওয়ামী দোসর হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর আলমকে টাকার বিনিময়ে প্যানেল চেয়ারম্যান করেছেন বলেও দাবী করেন তারা। দ্রুত অপসারণ না করলে স্থানীয় এলাকাবাসী কঠোর বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেন।
সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিলখার হাট এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট, কেইপিজেডের গেটসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, কর্ণফুলী টানেল সড়কের বিভিন্ন স্থানে বসেছে বৃহৎ পশুর হাট।
গরু-ছাগল নিয়ে সড়কের ওপর কেনাবেচা শুরু করায় এ সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানচলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ের কারণে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলের পর থেকেই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় জমতে থাকে।
২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ সময়ে জন্ম নেওয়ায় শখ করে গরুর নাম রাখা হয়েছে ফনি। শান্ত স্বভাব আর চঞ্চল গরুটির মালিক বরিশাল জেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল সালাম বেপারি।
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মইজ্জ্যেরটেক পশুর হাটে ৩৫ মন ওজনের গরুটি নিয়ে এসেছেন তিনি। আবদুল সালাম বেপারী ফনি'র দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা।
তবে এ হাটে ১ লাখ টাকায় ৫ হাজার টাকা হাসিল আদায়ে অনেকটায় ক্রেতা শূণ্য হাট। ঈদের আর দুইদিন বাকি থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই হাটে নেই ক্রেতার দেখা। অনেক বেপারি অসল সময় পার করছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। এমনটায় বলছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে আসা বেপারিরা।
বেপারি আবদুল সালাম বেপারী বলেন, তিনি ছয় বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি পালন করে বড় করেছেন। স্বভাবে শান্ত প্রকৃতি ও ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ সময়ে জন্ম নেওয়ায় শখ করে গরুর নাম রাখা হয়েছে ফনি। হাটে তুললে গরুটি দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। সেই সঙ্গে দূরদূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি কিনার জন্য। ১০ লাখ হাঁকানো হয়েছে। তবে ঈদের আগেই কাঙ্ক্ষিত দামে গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাম ধরে ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফনি নড়েচড়ে ওঠে। মাথাটা দোলাদুলি করতে থাকে। গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুট। বদনজর থেকে বাঁচাতে কপালে দিয়েছেন কালো টিপ। ফনিকে ঘাস বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খাওয়াতে হয় বলেও জানান তারা।
গরুটি দেখাশুনা করছেন তার ছেলে শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুটি স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় তবে বর্তমানে গরমের কারণে কিছুটা কম খাবার খাওয়াচ্ছি। যত্ন করে লালন পালন করা হয়েছে। সবসময় এটা ফ্যানের নিচে থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করাতে হয়।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাসপাতালের জায়গায় বসা ইজারাবিহীন পশুর হাটে বিদ্যুৎপৃষ্টে মোহাম্মদ রিয়াদ (১৪) নামে এক কিশোরের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠে বসা ফকিনীরহাট পশুর হাটে এ ঘটনা ঘটে। আহত রিয়াদ বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিলখার হাট এলাকার মো. ইব্রাহিমের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটের আয়োজক ও বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভূমি অফিসের অধীনে হাসপাতালের মাঠে পশুর হাটে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একজন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে পশুর বাজার দেখতে গেছিল। পশুর বাজারে বৈদ্যুতিক তারের লেগে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হাটে থাকা লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।
জানা গেছে, বড়উঠান ইউনিয়নের ফকিনীরহাট বাজারটি খাস কালেকশন আদায় করছিল ভূমি অফিস। তারাই হাসপাতালের মাঠে পশুর হাটটি বসিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাধ্যমে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘পশুর হাটে বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুত্বর আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে বলে আমি শুনেছি। তার বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী তৈলারদ্বীপ সরকারহাট কোরবানির পশুর বাজারে। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। জনসমাগম আর হাকডাকে মুখরিত হাটে পশুর দাম নিয়ে পাল্টাপাল্টি মতভেদ রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।
এক একটি গুরু বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী, ছোট বড় নানান সাইজের গরু, মহিষ ও ছাগলের বড় হাট হিসেবে সরকার হাট গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড় পশুর হাটের মধ্যে অন্যতম। সারাদেশে এ হাটের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
ফলে সারা বছর এ হাটে রেকর্ড পরিমাণ গবাদি পশু বিক্রি হয়। যার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি এই হাট ইজারায় উঠে। এ হাটে দুইশ’র বেশি গবাদি পশু বিক্রেতাও রয়েছেন। তাছাড়া সরকার হাটকে ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও আশপাশ এলাকায় একশ’র বেশি খামার গড়ে উঠেছে। খামারগুলিতে দেশি, বিদেশি গবাদি পশুর উৎপাদন হয়। উৎপাদিত গরু–মহিষ কুরবানের ঈদে চট্টগ্রামের মানুষের চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে এ হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সাপ্তাহিক বাজার ছাড়াও প্রতিদিন গবাদি পশু বেচাকেনা হবে বলে জানা গেছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কম খরচে পরিবহন সুবিধার কারণে এ হাটের বাড়তি কদর পুরো চট্টগ্রামে।
এবার ঈদকে সামনে রেখে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পশুর হাট রয়েছে ২২টি। শেষ সময়ে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় সরকার হাট মুখরিত থাকলেও দুই উপজেলার অন্য হাটে ক্রেতার দেখা মিলেনি গত ৫দিনেও। অন্যান্য বছরের তুলনায় পশুর দাম অনেকটা কম বলে জানান বিক্রেতারা। তবে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে নানা মতপার্থক্য বেশীরভাগ ক্রেতাই পশুর দাম বেশি বললেও কেউ কেউ আবার বলছেন গরুর দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে।গরু কেনাবেচার তারা সরকার নির্ধারিত হাসিল আদায় করছেন। নিবিঘ্নে কোরবানীর পশু কেনাবেচায় হাট কমিটির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী অব্যাহত আছে।
সরকার হাট পশুর বাজারের ইজারাদার ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, ৭ কোটি টাকায় ইজারায় নেওয়া এ হাটের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য বাজারে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধাও। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে কেউ যেন প্রতারিত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও রাখা হয়েছে। আশা করি, বিক্রেতারা স্বচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা বাজারে গাড়িতে গরু মহিষ উঠানোর সময় হয়রানি মূলক টাকা নেওয়া বন্ধ করেছি। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই তুলনামূলক কম হাসিলে এ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূল রায়পুরে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রচন্ড টেউয়ে আটকে পড়া কয়লা বোঝায় নাভিমার-৩ লাইটার জাহাজ ও মারমেইড-৩ কার্গো দেখতে সকাল থেকে ভীড় করছেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও।
রোববার বিকেলে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠানমাঝির ঘাট এলাকায়।
এরআগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রভাবে প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় ওই দুইটি জাহাজ কুলে এসে আটকে যায়। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সদস্যরা জাহাজ দুটির নিয়ন্ত্রণে নেন। বালু চরে আটকে থাকা জাহাজ গুলো দেখতে ভীড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মুহাম্মদপুর এলাকায় শতবর্ষী পুকুর ভরাটের অভিযোগে আবদুল মোনাফ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা বলেন, পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যাক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভরাটকৃত মাটি অপসারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) ২০১০ অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
এরআগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে সরকারী ১নং খতিয়ানের জমির উপর স্থিত ১০০ বৎসরে পুরানো পুকুর ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা ও রিজুয়ান মোস্তফা জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক ইকবাল হায়দার চৌধুরী।
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। হাতে সময় আছে আর এক সপ্তাহের মতো। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর পশুর হাটগুলো বসে গেছে। সেখানে আসা শুরু করেছে কোরবানির পশু। সঙ্গে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটও এনেছেন। যা হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিন হাট পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের মূলগেট দিয়ে ঢুকেই পশ্চিম পাশে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু। একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ে বিরাট আকৃতির মরুর তিন প্রাণী। যেখানে জটলা পাকিয়ে চতুর্দিক দিয়ে জনতা উঠ তিনটি দেখছেন। অনেকে তুলছেন ছবিও। নয় মনের বিশাল আকৃতির প্রতিটি উটের দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এখনও বেচাবিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
হাট সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, উট একটি প্রাণী নয়, বরং এটি একটি ধর্মীয় আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতি বিজড়িত উট নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে রয়েছে এক বিশেষ অনুভূতি।
উট বিক্রেতা মোহাম্মদ মন্টু হোসেন ও আলী আকবর মামা বলেন, 'মইজ্জ্যেরটেক পশুর হাটে যশোর থেকে তিনটি উট আনা হয়েছে। এগুলো দেখতে অনেকেই ভীড় করছেন।'
ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রচন্ড টেউয়ে বঙ্গোপসাগরের কয়লা বোঝায় নাভিমার-৩ লাইটার জাহাজ ও মারমেইড-৩ কার্গো তীরে আটকে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রভাবে প্রবল জোয়ারে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠানমাঝির ঘাট এলাকায় ওই দুইটি জাহাজ কুলে এসে আটকে যায়।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সদস্যরা জাহাজ দুটির নিয়ন্ত্রণে নেন বলে জানিয়েছে জাহাজটির ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান। সকাল থেকে বালু চরে আটকে থাকা জাহাজ গুলো দেখতে ভীড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। রাত গভীর হতে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির গতি আরও বাড়তে থাকে। জোয়ারের পানির ধাক্কায় জাহাজ দুটি চরে এসে আটকে যায়।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানিতে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদীর পাড় ভেঙে তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে কৃষি জমির ফসল ও ওই এলাকার মৎস্য ঘের পানিতে ডুবে গেছে।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মুষলধারে ভারি বৃষ্টিপাত ও বঙ্গোপসাগরের বৃদ্ধি পাওয়া জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে শঙ্খ নদীর পাড়। শঙ্খ নদীর পানি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে ঢোকা শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। ফলে স্বাভাবিক সময়েই জীর্ণ, শঙ্খ নদীর পাড়ের বাঁধ ভেঙে এবং উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। ফলে উপজেলার জুঁইদন্ডী বিস্তীর্ণ এলাকায় হুমকিতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ঘের, কৃষকদের ফসলও।
স্থানীয় জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান খোকা জানান, জুইঁদন্ডী ইউনিয়নের ৮ কিলোমিটার বাঁধ এখনও অরক্ষিত। বর্ষার আগে ঝুঁকিপূর্ণ শঙ্খ নদীর পাড় মেরামত না করায় পানি ঢুকছে লোকালয়ে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘেরের মাছ ও ক্ষতি হয়েছে বেশি কৃষকদের। দ্রুত মেরামত না করলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবারের।
অন্যদিকে ভাঙন তীব্র হচ্ছে পারকি সমুদ্র সৈকতে:
বেশ কয়েক বছর ধরে পারকি সমুদ্র সৈকত ভাঙছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ভাঙন আরও বেড়েছে। এ কারণে পর্যটকদের জন্য সৈকত যেমন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে, তেমনই লুসাই পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনাও ঝুঁকিতে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে সৈকতের এমন ভাঙন বাড়তেই থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙান রোধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপের দাবী জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসায়ী ও মাছের ঘেরের মালিকদের নিজস্ব অর্থয়ানে মাটি ও জিওব্যাগ ভর্তি বসানো বালুর বাঁধও টেকসই হচ্ছে না সৈকতে। পানির ধাক্কায় কিছুদিনপরই পানিতে তলিয়ে যায়। পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় স্থানীয়ভাবে পাথরের বক্ল বসানো দরকার।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পারকি সৈকতে দেখা যায়, প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্র সৈকতের ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কাছে পারকি যেমন উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে, তেমনি হুমকির মধ্যে পড়েছে সম্ভাবনাময় এই সৈকত। সৈকতের লুসাই পার্ক এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঝাউগাছের গোড়ার বালু সরে দেড় থেকে দুই ফুট বালু সরে যাওয়ায় গাছগুলোর শেকড় বেরিয়ে পড়েছে। এসব ভাঙন ঠেকাতে নিজ উদ্যোগে মাছের ঘেরের মাটি কেটে অস্থায়ী বাঁধ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
লুসাই পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. হাশিম চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েকদিনের টানা বাঁধের ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে আামদের নিজেদের অর্থয়ানে বিভিন্ন অংশে কাজ করা হচ্ছে। পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবী করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন, ‘নতুন করে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। যেটি বাস্তবায়ন করছেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। জুঁইদন্ডীর শঙ্খ নদীর পাড় ভাঙনের বিষয়টি নৌ-বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। পানি নামলে মেরামত কাজ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক।’
পারকি সমুদ্র সৈকতের ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র পারকি সমুদ্র সৈকত রক্ষায় আমরা নতুন একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে পারকি সমুদ্র সৈকতের চিত্র।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট গুড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ব্রিজঘাট, সৈন্যরটেক, খুদ্যেরটেক, আজিমপাড়া ও মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন (সিডিএ)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম।
এস্টেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, ‘আমরা অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করেছি অনেক আগেই। সিডিএ’র জমিতে যারা দখল রয়েছেন তাঁদের অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অভিযানে অংশ নিয়েছেন সিডিএ স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ), সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী, সিডিএর সহকারী প্রকৌশলী, পেশকার ও সিএমপির পুলিশের সদস্যরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরও বিনা নোটিশে উপজেলার চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট এলাকায় কাঁচাবাজার ও সড়কের পাশের প্রায় আড়াইশত দোকান গুড়িয়ে দিয়েছিলেন সিডিএ। এবারও চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট এলাকা থেকে মইজ্জ্যেরটেক পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালায় সিডিএ।
সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ টিপু জানান, অধিগ্রহণ করা জমিটি রাস্তা নির্মাণের অবশিষ্ট জমি। এটা বাজারের কোন খাস জমি নয়। ভবিষ্যতে রাস্তা সম্প্রসারণ করার জন্য সংরক্ষণ করা ছিলো জমিটি। এলএ মামলা ও বিএস খতিয়ান মূলে জমিটির মালিক সিডিএ’র। তাই এ জমিতে থাকা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন,
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী সড়কে পথসভায় বক্তব্য রাখছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
দেশে প্রতিবছর হাজার-হাজার নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কে না জানা এবং সময়মতো এই রোগ সনাক্ত না হওয়ার কারণে মৃত্যুর হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যথাসময়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ৫ শতাধিক চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা শাখার চেয়ারম্যান ও নাক, কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ইউএসটিসি সহকারী অধ্যাপক ডা. খন্দকার আবদুল্লাহ্ আল মাহমুদ সোহেল।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা শাখার ডাইরেক্টর এডমিন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী শামীম আল মামুন, গাইনীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. কামরুননেচ্ছা রোজী, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুল ইসলাম, মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিসবাহুস সালেহীন, ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটোলজিস্ট ডা. সাহেদ আহম্মেদ, গ্রাম ডাক্তার সমিতির উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমান, সভাপতি ডা. কংসরাজ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল দাশ, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শাখার ব্যবস্থাপক রিপন বড়–য়া।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শেভরণের পথচলা। শেভরন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষদের সেবা প্রদান করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবা সংযোজন করে যাচ্ছি। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই আমরা। কাউকে আর চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হবে না। এক ছাদের নিচে সব সমস্যার সমাধান। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়। এতে প্রয়োজন আনোয়ারার মানুষের ভালোবাসা।’