ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
পানির ধাক্কায় ভাঙছে মসজিদ-কবরস্থান ও কোটি টাকার বেড়িবাঁধ, জাহাজ সরাতে বন্দরকে চিঠি
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে আটকে পড়া কয়লাবাহী দুইটি জাহাজের পানির ধাক্কায় ভাঙছে উপকূলীয় এলাকার মসজিদ ও কবরস্থানসহ কোটি টাকার নির্মিত বেড়িবাঁধ। গত ২৫ জুন (বুধবার) জাহাজ দুটি সরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিন ও স্থানীয়রা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝি ঘাট এলাকায় গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে আটকে পড়া কয়লাবাহী দুইটি জাহাজের পানির ধাক্কায় ভাঙছে উপকূলীয় এলাকার মসজিদ ও কবরস্থানসহ কোটি টাকার নির্মিত বেড়িবাঁধ। জাহাজ দুটি মসজিদ ঘেঁষা কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। জাহাজের সৃষ্ট ঢেউয়ে মসজিদের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের জিও ব্যাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতবছর পুরোনো কবর থেকে উঠে এসেছে দুটি লাশের কঙ্কাল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপকূলবাসীর। পরে লাশের কঙ্কাল গুলো অন্য একটি কবরস্থানে দাফন করেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজ দুটি গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে জব্দ রয়েছে। জাহাজ দুটি বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় জোয়ার-ভাটার স্রোতে কখনো কুতুবদিয়া, কখনো মগনামাসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ভেসে বেড়ায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন, ‘জাহাজের কারণে উপকূলী বেড়িবাঁধ মারতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অব্যহতি করেছি। এগুলো দ্রুত সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনেরও জরুরীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইনি। জাহাজের কারণে স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থানসহ বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা একাধিকবার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ সরানোর জন্য সবধরণের সহযোগিতা স্থানীয় প্রশাসন সবসময় করবে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠি পেয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’