close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

Suivant

অর্থ মন্ত্রানালয়েরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা(এও)তাজ উদ্দিনের নির্যাতন,প্রতারণা ও দ্বিতীয় বিবাহের প্রতিবাদ

260 Vues· 12/07/25
Al Mamun Gazi
Al Mamun Gazi
11 Les abonnés
11

গোপালগঞ্জে আজ শনিবার ১২ই জুলাই গোপালগঞ্জ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নওরিন সিদ্দিকা, পিতা- শেখ দেলোয়ার হোসেন (অবসর সেনা সদস্য), দীঘলিয়া, রাধাগঞ্জ, কোটালীপাড়া।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নওরিন বলেন, আমার স্বামী- এস, এম তাজ উদ্দিন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা(এও) পিতা -আউয়াল সরদার, সিংগাতী মোল্লার হাট, বাগেরহাট। পরিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয় এস,এম তাজ উদ্দিনের সহিত ২০১০ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। আমি দুই ছেলে সন্তানের জননী আমার প্রথম ছেলে বয়াস ১৪ বছর ২য় ছেলের বয়াস ১০ বছর, বিবাহের ১ বছর পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী তাজ উদ্দিন বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমাকে নির্যাতন শুরু করে। মেয়েদের জীবনে বিবাহ একবার হয় বলে সকল নির্যাতন আমি সহ্য করে স্বামীর সংসার করেছি। আমার স্বামী একজন নারী লোভী প্রকৃতির মানুষ, তার পরকীয়া আমার কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় আমি বাঁধা দেই। এর পর থেকেই শুরু হয় আমার উপর অমানবিক শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। আমার স্বামীর নির্যাতনের করলে রক্তাক্ত অবস্থায় বার বার ঢাকা মেডিকেল ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বহু রেকর্ড আছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার স্বামী তাজ উদ্দিন আর্থ মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সে একজন সিবিএ নেতা ছিল। আমি বার বার তার অফিসে তার ঘৃণ্য এই কার্যকলাপের জন্য লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে তার অফিসও হার মেনেছে। তার অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি যাত্রাবাড়ি থানায় ও লালবাগ থানায় বহুবার অভিযোগ করেছি। থানা থেকে বার বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথের ঘনিষ্ঠ সহচর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিপি শরিফুল ইসলাম শরিফ আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাদের লালবাগের সরকারি বাসায় পাঠিয়ে দিতো। বাসায় যাওয়ার পর আমার পাষণ্ড স্বামী আমাকে আবারো নির্যাতন করতো।
ও আমার সাথে প্রতারণা করে আমার ২ ছেলেকে ঢাকা নিয়ে গেছে। আমার সাথে আমার সন্তানদের যোগাযোগ করতে দেয় না। ওর নামে অভিযোগ দিয়েও আমি কোনো প্রতিকার পাই নাই।
স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত আমাদেরকে ৩১ শে অক্টোবর ২০২৪ মীমাংসা করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আমাকে বাসায় নিয়ে আমার স্বামী ঘরের ভিতরে আটকাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, আসে পাশে লোকজন টের পেয়ে ছুটে আসলে আমি বেঁচে যাই।
নারী লোভী ঐ তাজ উদ্দিন আমি বাসায় না থাকায় বিভিন্ন মেয়েদের নিয়ে বাসায় আসতো। পাশের বাসা থেকে এসব তথ্য আমাকে দিত। আমি গোপন সূত্রে এক সময় জানতে পারলাম আমার স্বামী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী এলাকার শেখ আসমা সুলতাণা নামক এক ডিভোর্সি ২ সন্তানের জননীকে গোপনে বিবাহ করেছে ২০২৪ সালের ৮ ই জুলাই। ঐ বিবাহ করে সে আমার হয়াটর্স অ্যাপে একটি ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায় ঐ নোটিশে দেওয়া আছে ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখ।
সুধু তাই নয় ও আমার ভাইকে বার বার মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ঐ জগন্নাথ এর ভিপি কে দিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, আমার পাষণ্ড স্বামী জুলাই আন্দোলনের সময়কালে যাত্রাবাড়ি ও লালবাগে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জীবন বাঁচাতে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা আমাদের লালবাগের সরকারি কোয়াটারে আশ্রয় নিতে আসলে ও পুলিশ ডেকে তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছে। পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর ঐ সকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাকে বাসায় বার বার খুঁজতে আসলে তাকে পায় নাই। প্রায় দীর্ঘ ২ মাস সে পালিয়ে বেড়িয়েছে। এখন সে আবার পূর্বের ন্যায় দাপটের সহিত কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আপনাদের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশ সরকারের মানিনীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করছি যে, আমি আমার ১৫ বছরের সংসার ফিরে পাওয়া সহ ঐ নারী লোভী পাষণ্ডের সকল ঘৃণিত কর্মকাণ্ড নজরে এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

Montre plus

 0 commentaires sort   Trier par


Suivant