Hasta la próxima

নগরকান্দা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুর্নীতি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

30,007 vistas· 22/07/25
Al Mamun Gazi
Al Mamun Gazi
11 Suscriptores
11
En Crimen

ফরিদপুরের নগরকান্দা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আলোক কুমার সাহা, সিনিয়র প্রশিক্ষক প্রদীপ কর এবং সিনিয়র প্রশিক্ষক নিশিত রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ ও দুই সিনিয়র প্রশিক্ষক কর্তৃপক্ষের প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের আর্থিক অনিয়ম, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ করে আসছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, অধ্যক্ষ নিজেই এসব অনিয়মে সরাসরি জড়িত।

এক বিক্ষুব্ধ ছাত্রী বলেন, “নিশিত রায় স্যার বিভিন্ন বাহানায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত মালামাল ক্লাসে না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংকটে আমরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারছি না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি না হলে আমরা ক্লাস বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও দুই সিনিয়র প্রশিক্ষকের পদত্যাগ চাই’, ‘শ্লীলতাহানির বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।

অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আলোক কুমার সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলছে।”

অভিযুক্ত সিনিয়র প্রশিক্ষক প্রদীপ কর ও নিশিত রায়ও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অধ্যক্ষ স্যার আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমরা তা পালন করেছি। আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি এবং কোনো ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করিনি।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবিরউদ্দিন জানান, “অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Mostrar más

 0 Comentarios sort   Ordenar por


Hasta la próxima