Nazrul Islam
|Mga subscriber
Pinakabagong mga video
পিনাকির বর্ণনা থেকে
নজরুল ইসলাম,
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম–২০২৫ বাস্তবায়ন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অংশগ্রহণে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা।
এমডিভি সুপারভাইজার মোঃ কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাকিব উল আলম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন ও এনটিভির অনলাইন প্রতিনিধি আবুল কাশেম।
এসময় লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতার হোছাইন, উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার, কৈয়ারবিল ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল আলম কুতুবী, কুতুবদিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ মুজাম্মেল হক, সাংবাদিক নজরুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য সহকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন কুতুবদিয়ার সব ইউনিয়নে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সকল কুকুরকে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে বক্তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে—গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৮–১২ জন রোগী ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ না হলে তাদের বাসায় থেকেই চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কুতুবদিয়া হাসপাতালে ওষুধ, স্যালাইন ও পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান। তিনি বলেন, “দ্বীপাঞ্চলে আগে এ ধরনের প্রকোপ ছিল না। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। এখনই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে বলে জানান তিনি। এসময় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন ডাঃ রেজাউল হাসান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই আধুনিক হাসপাতালে ১০০ জনেরও বেশি রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক তথ্যের মধ্যে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি—সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও কম বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তথ্য থেকে জানা গেছে, গত এক মাসে কয়েক শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মারুফ জানান, ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, “হাসপাতালের ধারণক্ষমতার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি। প্রাচীন ৩০ শয্যার ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় সব বয়সের রোগীদের একই স্থানে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতেও রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ ও মশক নিধন কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। নিয়মিত ফগিং না হওয়ায় মশার বিস্তার দ্রুত বাড়ছে। এছাড়া যত্রতত্র ময়লার স্তূপের কারণে দুর্গন্ধ ছড়ানো ও রোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটির সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরাও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন—এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
কুতুবদিয়াবাসীর প্রত্যাশা—অবিলম্বে কার্যকর মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মারুফ জানান—
রোগীদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
“৩০ শয্যার পুরনো ভবনটি পরিত্যক্ত। সব রোগীকে এক জায়গায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে—যা ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে।”
'দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি—প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি'—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে সিটিজেন পার্ক প্রাঙ্গণে এ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুতুবদিয়া প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম। উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এনামুল হকের সঞ্চালনায় মেলায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব উল আলম এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
মেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ খামারিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল আমিন মার্কেটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেকে নিয়ে মারধর ও পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, নুরুল হোসেনের ছেলে মো. আনিস (২০), মৃত শফি মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (৫৫), আলম ছবির ছেলে নাছির (৬০) এবং ওসমান গণির ছেলে রুবেল (২০)। সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে ওসমান গণি আল আমিন মার্কেটে মাছ কিনতে গেলে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন তাকে এক পাশে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরবর্তীতে শাহাদাতের ভাই ও আত্মীয়রা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেন। এতে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
স্থানীয়রা আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেন, পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। পরে তারা একটি দোকানও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আহত ওসমান গণির স্ত্রী রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সকালে একই এলাকার আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন, বেলাল,দিলদার ও গুরা বাদশা এবং মানিকের ছেলে বাদশা ও তোষারসহ প্রকাশ্যে তার স্বামীর ওপর হামলা করে। স্বামীর চিৎকারে আনিস, ওসমান গণি, নাছির এবং রুবেল উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এখনো সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কুতুবদিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল আমিন মার্কেটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেকে নিয়ে মারধর ও পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, নুরুল হোসেনের ছেলে মো. আনিস (২০), মৃত শফি মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (৫৫), আলম ছবির ছেলে নাছির (৬০) এবং ওসমান গণির ছেলে রুবেল (২০)। সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে ওসমান গণি আল আমিন মার্কেটে মাছ কিনতে গেলে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন তাকে এক পাশে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরবর্তীতে শাহাদাতের ভাই ও আত্মীয়রা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেন। এতে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
স্থানীয়রা আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেন, পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। পরে তারা একটি দোকানও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আহত ওসমান গণির স্ত্রী রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সকালে একই এলাকার আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন, বেলাল,দিলদার ও গুরা বাদশা এবং মানিকের ছেলে বাদশা ও তোষারসহ প্রকাশ্যে তার স্বামীর ওপর হামলা করে। স্বামীর চিৎকারে আনিস, ওসমান গণি, নাছির এবং রুবেল উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এখনো সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বাড়ি পুড়ে ছাই,
ক্ষতিগ্রস্ত ৬ পরিবারকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ছোটন
নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের ব্রাহ্মণ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ ।
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো হলো,বাদল শীলের ছেলে বলরাম শীল ও তপন শীল, সারদা শীলের ছেলে সেন্টু শীল এবং সেন্টু শীলের ছেলে জনি শীল, ললীত শীলের ছেলে রবি শীল এবং সৌরভ শীল।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান ৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে পরিবারগুলো জানিয়েছে।
ঘটনার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবার এবং ২টি দোকানঘরের মালিকদের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শহীদ উদ্দিন ছোটন।
চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাসান কুতুবী, ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও মাইনুদ্দিন হাশেম মিন্টুর উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চাল–ডাল, শুকনো খাবার, কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ২,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের ব্রাহ্মণ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ ।
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো হলো,বাদল শীলের ছেলে বলরাম শীল ও তপন শীল, সারদা শীলের ছেলে সেন্টু শীল এবং সেন্টু শীলের ছেলে জনি শীল, ললীত শীলের ছেলে রবি শীল এবং সৌরভ শীল।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান ৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে পরিবারগুলো জানিয়েছে।
ঘটনার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবার এবং ২টি দোকানঘরের মালিকদের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শহীদ উদ্দিন ছোটন।
চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাসান কুতুবী, ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও মাইনুদ্দিন হাশেম মিন্টুর উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চাল–ডাল, শুকনো খাবার, কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ২,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়ত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই ধারাবহিকতায় শনিবার (০৮-১১-২০২৫) বঙ্গোপসাগরে টহল কার্যক্রমের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ সাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে উদ্ধার করে।
কুতুবদিয়া লাইট হাউজ হতে প্রায় ২০ মাইল দূরে ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় গভীর সমুদ্রে একটি মাছধরা ট্রলার ভাসতে থাকে। ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে জাহাজের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত দিয়ে সংকেত প্রদর্শন করে। সাগরে টহলরত নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ সংকেত লক্ষ করে তাৎক্ষণিক বিপদগস্ত জেলে ও ট্রলারের নিকট ছুটে যায়। অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌ সদস্যগণ ট্রলারসহ অসহায় জেলেদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরপরই জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রদান করা হয়। নৌবাহিনী জাহাজ উদ্ধারকৃত জেলেদের ও মাছ ধরার ট্রলারটিকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাদের পরিবার ও মালিক পক্ষের কাছে সকলকে হস্তান্তর করা হয়। জেলেরা জানায়, গত ০৬ নভেম্বর ২০২৫ হতে ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে তিনদিন যাবৎ মাঝ সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনিত এমপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিও
আলোচিত বাপ্পী খুনের আসামি গ্রেফতারের দাবিতে কুতুবদিয়ায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক | কুতুবদিয়া
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী মতিরবাপের পাড়ার আলোচিত বাপ্পী খুনের আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে কুতুবদিয়া উপজেলা গেইটের সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় জনসাধারণ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নিহতের স্বজনরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন নিহত বাপ্পীর পিতা কায়মুল হুদা ও মা রুজিনা আখতার। তারা অভিযোগ করে বলেন, “উত্তর কৈয়ারবিল সেন্টারপাড়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে গরীব ও অসহায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বন বাপ্পীকে পূর্ব শত্রুতার জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো এজাহারভুক্ত আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।”
তারা আরও বলেন, “আমরা এখন উল্টো আসামি পক্ষের হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আমাদের জীবনও হুমকির মুখে পড়বে।”
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “একজন নিরীহ যুবককে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে—এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসন দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।”
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
📅 (০৩ নভেম্বর ২০২৫)
📍 কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
কুতুবদিয়া সরকারি কলেজে শিবিরের নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া সরকারি কলেজে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্টানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. হামিদুর রহমান আযাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহীম রনি এবং কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক চেয়ারম্যান আ. স. ম. শাহরিয়ার চৌধুরী।
প্রধান অতিথি ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “দুর্নীতি, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যকে না বলতে হবে। মেধাবীদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে।” তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নৈতিকতা, সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের শুধু ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নেতৃত্বগুণ ও সৃজনশীল চিন্তাশক্তি অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিবির ও জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)
কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে রোগীর উপর হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া এবং উল্টো বাদী পক্ষকে হুমকি-হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) সকালে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হামলার শিকার রোগীর পরিবার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে তাদের স্বজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হলেও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। বরং আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদী পক্ষকে উল্টো নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা স্থানীয় যুবদল নেতা হওয়ায় পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। অন্যথায় আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বাধ্য হবো।”
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)
কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে রোগীর উপর হামলার ঘটনায় ১৪ দিন অতিক্রম হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বরং মামলার বাদী পক্ষ অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর উপর একদল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনাটির পরপরই ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তবে দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা স্থানীয় যুবদল নেতা হওয়ায় পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে অভিযানে গড়িমসি করছে। বরং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদী পক্ষকে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী একাধিক স্থানীয় সংবাদকর্মীকে জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। কিন্তু এখন উল্টো আমাদের পরিবারকে হয়রানি করার চেষ্টা চলছে। হামলাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে, অথচ পুলিশ নীরব।”
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ওসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
জড়িতদের এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ
“কুতুবদিয়ায় এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলার এক মাস পর যুবক খুন”
নিজস্ব প্রতিবেদক | কুতুবদিয়া
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মোহাম্মদ বাপ্পি (২৭) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত বাপ্পি উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মতি বাপের বাড়ির কায়মুল হুদার ছেলে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৈয়ারবিল সেন্টার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঘটনার পর পুলিশ আকতার হোসেন (কৈয়ারবিল ১নং ওয়ার্ডের শফিকুর রহমানের ছেলে) নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে ঘটনার পর ধুরুং ঘাট দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাপ্পি বাড়ি থেকে বের হয়ে কৈয়ারবিল সেন্টারের আবদুল কাদেরের দোকানে নাস্তা করছিলেন। নাস্তা শেষে আকতার নামের এক ব্যক্তি তাকে ডেকে উত্তর দিকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর একটি টমটম গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে মাথায় ব্যান্ডেজ মোড়ানো এক ব্যক্তি নেমে বাপ্পির সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে বাপ্পি দোকানের দিকে দৌড়ে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মারুফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানান, “বাপ্পিকে পৌঁনে ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা।”
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন বলেন, “আমরা দোকানে বসে ছিলাম। দেখি বাপ্পি দৌড়ে এসে পড়ে গেলো। কাছে গিয়ে দেখি বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু ডাক্তার বলেন—সে মারা গেছে।”
নিহতের মা জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এনসিপি নেতা পরিচয়দানকারী রিদুয়ানুজ্জামান হেলালির হুমকির মুখে ছিলেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
“এক বছর ধরে হেলালি আমার ছেলেকে নানা হুমকি দিচ্ছিল। কয়েকবার সন্ত্রাসী দিয়ে মারধরও করিয়েছে। আগেই থানায় জিডি করেছি। গত ২৩ আগস্ট হেলালি ও আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে আমার ছেলে মামলা করেছিল। কিন্তু কুতুবদিয়া থানা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজ তারা আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি ছেলের হত্যার বিচার চাই।”
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন,“ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চলছে।”
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি মাছের ঘের দখল ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই বাপ্পি খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে তারা ধারণা করছেন।
এক মাস আগে এনসিপি নেতা রিদুয়ানুজ্জামান হেলালির বিরুদ্ধে বাপ্পির পরিবারের করা মামলার পর থেকেই এলাকায় অস্থিরতা দেখা দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বাপ্পির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
