Synes godt om videoer
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে।
নভেম্বর মাসেই দুই শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন—যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তথ্য বলছে—
গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ জন রোগী চিকিৎসা নেওয়ায় আসছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন— যাদের অবস্থা জটিল নয়, তাদের বাসায় থেকেই চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।“দ্বীপাঞ্চলে আগে এত ডেঙ্গু দেখা যেত না। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মশার বিস্তার বেড়েছে।
এখনই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মারুফ জানান—
রোগীদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
“৩০ শয্যার পুরনো ভবনটি পরিত্যক্ত। সব রোগীকে এক জায়গায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে—যা ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে—গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৮–১২ জন রোগী ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ না হলে তাদের বাসায় থেকেই চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কুতুবদিয়া হাসপাতালে ওষুধ, স্যালাইন ও পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান। তিনি বলেন, “দ্বীপাঞ্চলে আগে এ ধরনের প্রকোপ ছিল না। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। এখনই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে বলে জানান তিনি। এসময় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন ডাঃ রেজাউল হাসান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই আধুনিক হাসপাতালে ১০০ জনেরও বেশি রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক তথ্যের মধ্যে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি—সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও কম বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তথ্য থেকে জানা গেছে, গত এক মাসে কয়েক শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মারুফ জানান, ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, “হাসপাতালের ধারণক্ষমতার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি। প্রাচীন ৩০ শয্যার ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় সব বয়সের রোগীদের একই স্থানে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতেও রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ ও মশক নিধন কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। নিয়মিত ফগিং না হওয়ায় মশার বিস্তার দ্রুত বাড়ছে। এছাড়া যত্রতত্র ময়লার স্তূপের কারণে দুর্গন্ধ ছড়ানো ও রোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটির সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরাও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন—এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
কুতুবদিয়াবাসীর প্রত্যাশা—অবিলম্বে কার্যকর মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল আমিন মার্কেটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেকে নিয়ে মারধর ও পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, নুরুল হোসেনের ছেলে মো. আনিস (২০), মৃত শফি মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (৫৫), আলম ছবির ছেলে নাছির (৬০) এবং ওসমান গণির ছেলে রুবেল (২০)। সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে ওসমান গণি আল আমিন মার্কেটে মাছ কিনতে গেলে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন তাকে এক পাশে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরবর্তীতে শাহাদাতের ভাই ও আত্মীয়রা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেন। এতে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
স্থানীয়রা আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেন, পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। পরে তারা একটি দোকানও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আহত ওসমান গণির স্ত্রী রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সকালে একই এলাকার আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন, বেলাল,দিলদার ও গুরা বাদশা এবং মানিকের ছেলে বাদশা ও তোষারসহ প্রকাশ্যে তার স্বামীর ওপর হামলা করে। স্বামীর চিৎকারে আনিস, ওসমান গণি, নাছির এবং রুবেল উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এখনো সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের ব্রাহ্মণ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ ।
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো হলো,বাদল শীলের ছেলে বলরাম শীল ও তপন শীল, সারদা শীলের ছেলে সেন্টু শীল এবং সেন্টু শীলের ছেলে জনি শীল, ললীত শীলের ছেলে রবি শীল এবং সৌরভ শীল।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান ৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে পরিবারগুলো জানিয়েছে।
ঘটনার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবার এবং ২টি দোকানঘরের মালিকদের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শহীদ উদ্দিন ছোটন।
চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাসান কুতুবী, ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও মাইনুদ্দিন হাশেম মিন্টুর উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চাল–ডাল, শুকনো খাবার, কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ২,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
নির্বাচনের আগে দলীয় প্রশাসনের অপসারণ চান ডঃ হামিদুর রহমান আযাদ এমপি। বুধবার ২২ অক্টোবর কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত মৎস্যজীবীদের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)
লবণের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে মাঠে এক মন লবণ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়, অথচ বাজারে সেই লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। এতে প্রকৃত চাষীরা বঞ্চিত ও হতাশ।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এ অবস্থায় আগামী বছর বহু চাষী লবণ উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে পারেন। তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লবণচাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানান।
ফুটেজে দেখা যায়। একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের ৩য় তলায় ভর্তি রোগীর উপর উপর্যপুরি হামলা করছে।
কুতুবদিয়া
(কক্সবাজার) প্রতিনিধি ॥
কক্সবাজার
উপকূলের কুতুবদিয়ায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌবাহিনী ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে
১১টি ফিশিং বোট আটক করা হয়েছে। এ সময় ৭৬০ মণ মাছ ও অপরিচিত পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(অক্টোবর ১০, ২০২৫) রাত ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত কুতুবদিয়ার আলী
আকবর ডেইল ইউনিয়নের তাবালের চর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরমান হোসেন এর নেতৃত্বে পতেঙ্গা নৌ ঘাঁতিতের টহলরত জাহাজ
বানৌজা মহিবুল্লাহ মা ইলিশ রক্ষার জন্য অভিযানে অংশ নেছে।
পরে কুতুবদিয়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া থানার ওসি আরমান হোসেন, উপজেলা
মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব, ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান আকতার কামাল।
মোবাইল কোর্টে
১১টি বোটের মালিকদের মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাছ ১৪ লাখ ৯০
হাজার টাকা মূল্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও উদ্ধারকৃত বেহুন্দি ও অন্যান্য
অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
১৩ টি জাহাজ জব্দের পরও গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রাণবাহী বহরের আরও অন্তত ৪০ টি জাহাজ,
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর গভীর সমুদ্রে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে এ উৎসব।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা এলাকার ১৪টি পূজা মণ্ডপের বিসর্জন প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী কুতুবদিয়া কন্টিনজেন্টের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ জিয়াদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সজল কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক নিজ্জল শীল, সদস্য কার্তিক শীলসহ অন্যান্যরা।
পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ভক্তরা জানান, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ করতে পারায় তারা কৃতজ্ঞ।
ডেস্ক নিউজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় জামাত
কুতুবদিয়া: অবারিত সম্ভাবনার দ্বীপ
নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া:
ঢেউয়ের গর্জন, দিগন্তজোড়া বালুকাবেলা আর সবুজ ঝাউবন— সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ কুতুবদিয়ার পরিচয় যেন প্রকৃতির রঙে আঁকা এক ক্যানভাস। কিন্তু এ সৌন্দর্য এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনায় তাই উঠে এলো কুতুবদিয়াকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি।
২৭ সেপ্টেম্বর, সারা দেশের মতো কুতুবদিয়াতেও পালিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে সোনারতরী ট্যুরিজম ও হোটেল সমুদ্র বিলাসের উদ্যোগে বের হয় র্যালি। পরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা দ্বীপের সৌন্দর্য, সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে খোলামেলা মতামত দেন। সভাপতিত্ব করেন সোনারতরী ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন।
আলোচনায় কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আরমান হোসেন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল-আযাদ, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম.এম. হাছান কুতুবী, প্রকৌশলী ফরহাদ মিয়া, সাংবাদিক এম.এ. মান্নান,অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
তাঁদের মতে, কুতুবদিয়া শুধু একটি দ্বীপ নয়; এটি এক সম্ভাবনার ভাণ্ডার। বিস্তৃত সমুদ্রসৈকত, ঝাউবন, সূর্যাস্ত আর সাগরের নোনাজল মিলিয়ে এখানে তৈরি হয়েছে এক অনন্য আবহ। পর্যটনের সব উপাদানই এখানে বিদ্যমান।
কুতুবদিয়া এখনো পর্যটন মানচিত্রে বড় করে উঠে আসেনি। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, যোগাযোগ সমস্যাসহ নানা কারণে এ দ্বীপের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে পুরোপুরি উন্মুক্ত করা যায়নি। বক্তারা মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ একসঙ্গে হলে সহজেই গড়ে তোলা সম্ভব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র।
এমন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার খুলবে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় দ্বীপ হবে প্রাণবন্ত। একই সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুন সম্ভাবনা, পর্যটন খাত পাবে এক গৌরবময় অধ্যায়।
কুতুবদিয়া শুধু সমুদ্রের বুকে ভাসমান একটি দ্বীপ নয়, এটি হতে পারে দেশের পর্যটন শিল্পের নতুন উজ্জ্বল ঠিকানা। বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সেই স্বপ্নকেই আবারও জাগিয়ে তুলেছে। এখন প্রয়োজন শুধু কার্যকর উদ্যোগ আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
লাশ পরিচয় মিলেছে নাম গোফ্ফার পিতা মৃত কফিল গ্রাম বুজরুক বরকতপুর ইউপি পবনাপুর থানা পলাশবাড়ী গাইবান্ধা
ভেগীর ব্রিজ নামক স্থানে পাওয়া গেছে
উপকূলীয় জনপদ কুতুবদিয়ায় শিশুদের পানিতে পড়ে মৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর২৫) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী জিয়াউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আ.স.ম শাহারিয়ার চৌধুরী, লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোছাইন, উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার, কৈয়ারবিল ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল আলম কুতুবী, কুতুবদিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিগারুন নাহার, লেমশীখালী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান নাজেম উদ্দিন নাজু এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কাইমুল হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শমসের নেওয়াজ মুক্তা।
নিজস্ব প্রতিবেদক,কুতুবদিয়া
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের গরু গোস্ত ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আ,ন,ম শহীদ উদ্দিন ছোটন। রবিবার বাজার ব্যবসায়ীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি গুরু গোস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি কিছু নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, গোস্তের বাজারে গুরু আর কুকুর মিলে একাকার হয়ে যায়। কুকুরের কারনে মানুষ বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। কসাইদের দায়ের নিচে দেখা যায় কুকুরের মাথা। ফলে ব্যবসায়ীরা গুরুর গোস্ত বিক্রি করছে নাকি কুকুরের গোস্ত বিক্রি করছে বুঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই তিনি ব্যবসায়ীদের সর্তক করেন। কুকুর থেকে মুক্ত থাকার জন্য নেটের ব্যবস্থা করতে বলেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে বলেন। নিয়ম মেনে গরু জবাই করতে বলেন। এ ছাড়া গোস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ লাইসেন্স নিতে একদিন সময় বেঁধে দেন।
