close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

تا بعدی

মনোনয়ন দাবিতে একবাক্যে তৃণমূল—‘আজাদ ভাইয়ের বিকল্প নেই’

9 بازدیدها· 05/09/25
Juwel Hossain
Juwel Hossain
36 مشترکین
36
که در سیاست

⁣বাংলাদেশের রাজনীতির পটভূমিতে যারা নিঃস্বার্থভাবে আদর্শের পথে থেকে ত্যাগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের পাশে ছিলেন—তাঁদের একজন নির্ভরযোগ্য নাম মোঃ আজাদ হোসেন। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এই নেতা শুধু বিএনপির একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিকই নন, বরং তিন দশকের বেশি সময় ধরে স্থানীয় রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, এবং তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

আজাদ হোসেনের রাজনৈতিক শিকড় গাঁথা তাঁর প্রয়াত পিতা সরাফত আলীর রেখে যাওয়া ঐতিহ্যে। তিনি ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং শহীদ প্রেসিডেন্ড জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। ২০০১ সালে তাঁর অসুস্থতার সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন—যা পরিবারটির প্রতি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থার প্রমাণ।

১৯৮৭ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার মাধ্যমে আজাদ হোসেনের রাজনীতির যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা যুবদল, জেলা যুবদল, পৌর বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব। তাঁর নেতৃত্বে দলের তৃণমূল ইউনিটগুলো সুসংগঠিত ও গতিশীল হয়েছে।

আজ তিনি শুধু একজন নেতা নন—তৃণমূলের এক আস্থা ও নির্ভরতার নাম। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার জন্য তাঁকে “ছায়া নেতা” বলেও অভিহিত করেন অনেকেই।

২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মোঃ আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি ২৬ বার কারাবরণ করেছেন, বারবার হয়েছেন গুম-খুনের হুমকির শিকার। এক সময় এমন অবস্থাও এসেছে, যখন তিনি প্রিয়জনদের জানাজায় পর্যন্ত অংশ নিতে পারেননি।

আজাদ হোসেন বলেন— “এই ১৬ বছর শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি, পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারিনি। হামলা-মামলা, পুলিশের লাঠি, জেল, গুমের ভয়—সবকিছুর মাঝে একটা লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি—দলকে সুসংগঠিত রাখা ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন।”

আজাদ হোসেন বর্তমানে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত একবাক্যে সুস্পষ্ট—তাঁর মত একজন ত্যাগী, জনভিত্তিসম্পন্ন নেতাই হতে পারেন বিএনপির পক্ষ থেকে যোগ্য প্রার্থী।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ বলেন, “আজাদ ভাই জাতীয় পর্যায়েও পরিচিত ত্যাগী নেতা। এমন নেতৃত্বই আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে।”

উপজেলা পৌর বিএনপি আহব্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জামায়াত ও শাসকদলের দমননীতির বিরুদ্ধে যিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তিনি আজাদ ভাই। এই আসনে তাঁর বিকল্প নেই।”

জেলা যুবদলের সাহিত্য সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক গোলাম মোস্তফা বলেন, “একসময় আমরা ১০ জন মিলে চা-ও খেতে পারিনি। সেসময়কার সাহসী নেতৃত্বের নাম আজাদ ভাই।”

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিক্সন কুমার আমিন বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আজাদ ভাইয়ের মত ত্যাগী আর কেউ নেই।”

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “মাঠ পর্যায়ের জড়িপ করলে একটাই নাম উঠে আসবে—আজাদ হোসেন।”

পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ইলিয়াস কাওছার বলেন, “ফ্যাসিবাদের সময় উনার মতো কেউ আমাদের আগলে রাখেনি। মনোনয়ন আজাদ ভাইয়েরই প্রাপ্য।”

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম বলেন, “ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর ছায়া আমাদের সাহস জুগিয়েছে। তিনি সংসদে গেলে ছাত্রদের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হবে।”

রাজনীতির বাইরেও মোঃ আজাদ হোসেন সমাজসেবায় অগ্রগামী। এতিম, দুস্থ, অসহায় ও রোগাক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তা প্রদান তাঁর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এছাড়াও তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক ও পরিবহন মালিক সমিতির দুইবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং দুইবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আজাদ হোসেন শুধু একজন দলীয় প্রার্থী নন—তিনি উল্লাপাড়ার মানুষদের জন্য এক পরিচিত নাম, এক আস্থার জায়গা। মাঠের রাজনীতি, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং রাজনৈতিক ত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনিই হতে পারেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে সবচেয়ে যোগ্য এবং বিজয়ী প্রার্থী।

জনগণের মুখে এখন একটাই দাবি— “ধানের শীষের কান্ডারি হোন মোঃ আজাদ হোসেন।

بیشتر نشان بده، اطلاعات بیشتر

 0 نظرات sort   مرتب سازی بر اساس


تا بعدی