যেসব কারণে নিষিদ্ধ হলো ছাত্রলীগ
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত মানুষ হত্যাসহ হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী, বুধবার (অক্টোবর ২৩) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপণ জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপণে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হত্যা, নির্যাতন, গণরুমে নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসব অভিযোগের প্রমাণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং আদালতেও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে শতাধিক নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। এছাড়া, আন্দোলনের সময় তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হয়।
প্রজ্ঞাপণে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ০৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে, যার যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তফসিল-২ এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপণটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।