আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০১/২০২৫ ১১:৪৮এ এম
ক্ষমতার ভাব’ নিয়ে জামায়াতের আচরণ, নির্বাচনেই জনতার জবাব: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে জামায়াতে ইসলামী এমন এক ধরনের আচরণ করছে, যেন তারা ইতোমধ্যেই দেশের ক্ষমতায় পৌঁছে গেছে। তিনি বলেছেন, “জামায়াত একলা চলো নীতি অবলম্বন করেছে। তবে ক্ষমতায় আনার মালিক হলো জনগণ। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনই আমাদের একমাত্র দাবি।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই মন্তব্য করেন রোববার সন্ধ্যায়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের বেগম খালেদা জিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কৃষি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়া শিশু একাডেমি।
সীমান্ত হত্যা ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক:
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, “সীমান্তে হত্যা চলছেই। তবে বিএনপি কখনো দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পক্ষে নয়। সম্পর্ক হবে সমতার ভিত্তিতে, দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে।” তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকারই বিএনপির প্রধান অগ্রাধিকার।
ক্রীড়া ও যুব সমাজের উন্নয়ন:
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘শাপলাকুড়ি ট্রফি-২০২৫’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। এই টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-১৪ বালিকারা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ূন কবীর। এ সময় বরগুনা জেলা ও বেতাগী উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে:
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, জনগণই দেশের প্রকৃত ক্ষমতার মালিক। সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার প্রশ্নই আসে না। তার মতে, দেশের মানুষ সচেতন, এবং তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
সমাপ্তি:
গয়েশ্বরের এই বক্তব্য স্পষ্ট করে যে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তবে তিনি আশাবাদী যে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকবে এবং জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।