মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৯/০১/২০২৫ ১২:৫১পি এম

সংস্কার ও নির্বাচন: একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন মির্জা ফখরুল

সংস্কার ও নির্বাচন: একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন মির্জা ফখরুল
ঢাকা: সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, বরং দুটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার সফল হতে পারে না।"

সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে
জুলাই-আগস্টে নির্বাচন নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও হবে। নির্বাচনের পর যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপি সব সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে কোনো বাধা নেই।"

জিয়াউর রহমান: সংস্কার ও উন্নয়নের অগ্রপথিক
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করা জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।"

তিনি আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরে কৃষি ও শিল্প খাতে বিপ্লব ঘটেছিল এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছিল। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্ম হয়, যা আজ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।"

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, "তিনি দলের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছেন। আমরা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করি।"

তাছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, "তার নেতৃত্বে আমরা একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে আছি। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে দেশ একটি নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছে।"বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে তার এই আহ্বান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারার এই বার্তা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ