আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/০১/২০২৫ ০১:১৩পি এম
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও চালু হলো টিকটক: নতুন শর্তে ফিরলো জনপ্রিয় অ্যাপ!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসে দেশটিতে আবারও চালু হলো জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। এই সিদ্ধান্তটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য এক বিশাল সুখবর হিসেবে দেখা দিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি, রোববার, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর টিকটক সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন, যা চীনা মালিকানাধীন এই অ্যাপের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কার্যকরী হওয়া স্থগিত করবে।
এদিকে, এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে টিকটককে সময় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের ৫০ শতাংশ শেয়ার মার্কিন কোনো অংশীদারকে বিক্রি করতে পারে। এই সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন এক অবস্থানের ফলস্বরূপ এসেছে, যেখানে তিনি তার ক্যাম্পেইন ভিডিওগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরিণামে সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছেন। এর আগে, টিকটককে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন তিনি, তবে তার অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় অ্যাপটির চালু হওয়ার পথে কোনো বাঁধা রইল না।
এছাড়া, ট্রাম্প আরও জানান, তিনি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান, যাতে টিকটক তার কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রে চালিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে, তিনি টিকটকের শেয়ারগুলো কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠানের হাতে স্থানান্তরিত করার কথা বলেছেন।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে টিকটককে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনের পক্ষে রায় দেয়া হয়েছিল, যা চীনা বাইটড্যান্স কোম্পানির মালিকানাধীন এই অ্যাপের বিরুদ্ধে ছিল। এ আইনের অধীনে, যদি টিকটক তার মালিকানা বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়, তবে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আশ্বাসে এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা একটুখানি বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা এখনও পুরোপুরি নিরসিত হয়নি। টিকটক এবং এর মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে, ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপের ফলে, এ মুহূর্তে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'ট্রুথ সোশ্যাল' এ এক পোস্টে বলেন, তিনি চান টিকটক "ভালো মানুষের হাতে" চলে আসুক এবং এই আশ্বাস দেয়ার মাধ্যমে তিনি টিকটককে মার্কিন বাজারে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। টিকটকও এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, তবে মার্কিন মালিকানার বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এখন প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক কিভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং নতুন ব্যবস্থাপনাগুলো জাতীয় নিরাপত্তার যেসব উদ্বেগ রয়েছে, তা কতটুকু পূরণ করতে পারবে।
টিকটক আবার চালু হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে স্বস্তির ঢেউ বইছে। তবে, চলমান সংকটের পরিণতি কী হবে, তা এখনও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে।