আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/০১/২০২৫ ০১:২৩পি এম
গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ: সিনজিল শহরে ভয়াবহ আক্রমণ!
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর একদিকে যেমন ফিলিস্তিনিরা মুক্তির আনন্দ উদযাপন করছিল, অন্যদিকে দখলদার ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা তাদের সুখে বিঘ্ন ঘটাতে নেমে আসে। রোববার সন্ধ্যায়, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা সিনজিল শহরে হামলা চালিয়ে ৪টি ফিলিস্তিনি গাড়িতে আগুন দেয় এবং ৪টি বাড়িতে পাথর ছুঁড়ে। শহরের বাসিন্দারা এই হামলা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসলেও, ইসরাইলি সেনাবাহিনী কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
বিস্তারিত:
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, প্রথম দিনে ইসরাইল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যার বিনিময়ে ৩ জন নারী ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর, গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে আনন্দধ্বনি শুরু হয়। কিন্তু, পশ্চিম তীরে অধিকৃত সিনজিল শহরের ফিলিস্তিনিরা এই খবর উদযাপন করার সময়, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনিরা তাদের বন্দিদের মুক্তি নিয়ে উৎসব করছিল, এবং এই সময়ই অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা শহরের উত্তর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হামলায় অন্তত ৪টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি এবং হামলাকারীরা অবাধে কাজ করেছে।
ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর অবস্থা:
ইসরাইলি ওফার কারাগারের কাছে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের প্রিয়জনদের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিল। সেদিন নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পর, ৯০ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছে। ফিলিস্তিনিরা এই সময় তাদের স্বাধীনতার স্বপ্নের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উল্লাসিত হলেও, সিনজিল শহরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণের প্রতিবাদও করতে ভুলেনি।
এদিকে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতি আরও তীব্রতর হয়েছে, তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতির কোনও সঠিক দিশা দেখা যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের অব্যাহত আক্রমণ এবং এসব হামলার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।