আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০১/২০২৫ ০৫:৫৭পি এম
ট্রাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং অভিবাসন নীতিতে নতুন বিপ্লব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অভিবাসন নীতিতে বিপ্লবী পরিবর্তন আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ পদক্ষেপে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি অভিবাসন সংকট মোকাবিলার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।
অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা: ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ২০ জানুয়ারি সোমবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন অভিবাসন নীতিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি পেন্টাগনকে সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ, বন্দীশিবির স্থাপন এবং অবৈধ অভিবাসীদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, প্রয়োজনে মেক্সিকো সীমান্তে সেনা পাঠানোর ক্ষমতা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ কর্মসূচির পুনরায় কার্যকরী উদ্যোগ
ট্রাম্প তার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার জন্য। এর আওতায়, মেক্সিকো ছাড়া অন্য দেশগুলোর অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে অবস্থান করতে বাধ্য থাকবেন। এই কর্মসূচি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ট্রাম্পের অঙ্গীকার
শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানান, ‘একজন কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো আমাদের দেশকে হুমকি এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। আমি সেই দায়িত্ব পালন করব।’
বিদেশি বংশোদ্ভূত শিশুদের নাগরিকত্বের সীমাবদ্ধতা
অভিবাসন নীতির পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণকারী বিদেশি বংশোদ্ভূত দম্পতিদের শিশুদের নাগরিকত্ব সীমিত করার উদ্যোগও নিয়েছে। এই পদক্ষেপ অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্পের কৌশলের দৃঢ়তা এবং কঠোর অবস্থানেরই প্রতিফলন।
বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে ট্রাম্প তার অবস্থানে অটল এবং দেশকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে তার এই সিদ্ধান্ত সমর্থন কিংবা সমালোচনার মুখোমুখি হলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হলো অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানো এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।