আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/০১/২০২৫ ০১:২১পি এম
ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই মেলানিয়া চালু করলেন ক্রিপ্টোকারেন্সি, বাজারে সাড়া
আগামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তবে তার আগেই ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এক চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই তিনি তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। গত রবিবার মেলানিয়া ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, "অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম লাইভ! এখন আপনি $মেলানিয়া কিনতে পারবেন।"
এটি ট্রাম্পের $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সির পরবর্তী ধাপ হিসেবে প্রকাশিত হয়, যেটি ট্রাম্পের অভিষেকের মাত্র একদিন পরেই উন্মোচিত হয়। এই নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি $Melania তে মেলানিয়ার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাজারে এসেছে এবং এটি বর্তমানে একটি বড় চমক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেলানিয়ার নতুন মুদ্রা বাজারে আনার পরে, উভয় মুদ্রার পরিমাণ বাড়লেও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো অস্থিরতা কাটেনি।
মেলানিয়ার নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার মূল্য বর্তমানে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার, যা কোইনমার্কেটক্যাপ (CoinMarketCap) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। অপরদিকে, ট্রাম্পের $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যবান। এটি একটি আকর্ষণীয় ও ভবিষ্যতপ্রসূত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের কাছে নতুন আশা তৈরি করেছে।
অবশ্য, এই মুহূর্তে, ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে এখনও অস্থিরতা বিদ্যমান। এই মুদ্রাগুলি উত্থান-পতনের শিকার হলেও, তারা মার্কিন বাজারের ক্রিপ্টোপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একদিকে, ট্রাম্প যখন তার নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রিপ্টোকারেন্সিকে "স্ক্যাম" হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, তখন মেলানিয়া নিজের মুদ্রা চালু করে সবকিছুকে উল্টে দিয়েছেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন স্টকপাইল তৈরি করবেন এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের নিয়োগ করবেন যাতে ডিজিটাল সম্পদগুলোর প্রতি আরও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেলানিয়া ও ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল অর্থনীতি ও মুদ্রাবাজারে এক নতুন ধারা তৈরি করবে। বিশেষ করে বিটকয়েনের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহের পর, বিটকয়েন তার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বর্তমানে, বিটকয়েন কোইনবেস প্ল্যাটফর্মে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে ট্রেড করছে, যা ট্রাম্পের বিজয়ের পর নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এভাবে, ট্রাম্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের এই নতুন উদ্যোগ মার্কিন রাজনীতির পাশাপাশি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারেও আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে, যা ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।