মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০১/২০২৫ ১০:৪৩এ এম

মিয়ানমার জান্তা ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতিতে রাজি: চীন

মিয়ানমার জান্তা ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতিতে রাজি: চীন
চীনের সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গতকাল সোমবার এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়।

বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষগুলো চীনের শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। তারা বেইজিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, এই প্রচেষ্টা মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

চীনের উদ্বেগ: সীমান্তের স্থিতিশীলতা রক্ষা

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের দীর্ঘ ২,০০০ কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত অস্থিতিশীল হলে চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে চীন একই অঞ্চলে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যে সেই চুক্তি ভেঙে যায়।

মাও নিং বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তরের পরিস্থিতি শান্ত করা এবং চীন-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা এ অঞ্চলের সকল পক্ষের সাধারণ স্বার্থ।’

শান্তি প্রক্রিয়ায় চীনের ভূমিকা

মিয়ানমারের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের নিজেদের বলে বিবেচিত অঞ্চল থেকে সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে দিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) অন্যতম। এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।

চীন এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাও নিং বলেন, ‘চীন মিয়ানমারের উত্তরের শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা এবং সক্রিয়ভাবে সংলাপ ও শান্তির প্রচার চালিয়ে যাবে।’

চুক্তির ভবিষ্যৎ: স্থায়িত্বের সম্ভাবনা

যদিও চীন এই চুক্তির মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে, তবে পূর্ববর্তী চুক্তি ভেঙে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করছে। তবুও, চীনের নেতৃত্বে এই শান্তি প্রচেষ্টা মিয়ানমার এবং এ অঞ্চলের জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ