আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০১/২০২৫ ১০:৩১এ এম
বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা রওনা দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিউল আলম।
গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বৈশ্বিক অংশগ্রহণ
চার দিনের সরকারি সফরে ড. ইউনূস বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। তার নির্ধারিত আলোচনার তালিকায় রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন শিনাওয়াত্রা। এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও ড. ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মেটাতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ড. অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালার সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে আলাদা সংলাপ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে। এই সংলাপে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরা হবে।
সফরের সময়সূচি
চার দিনের এই সফর শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার এই সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এই বৈঠক শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড. ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মানচিত্রে আরও দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।