আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/০১/২০২৫ ০১:১৫পি এম
শেহবাজকে পাকিস্তানের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান নওয়াজ শরীফের
পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) এর সুপ্রিমো ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে দেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই আলোচনায় তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য একযোগে কাজ করার উপরও জোর দেন।
রোববার, পাকিস্তান মুসলিম লিগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা যায়, শেহবাজ শরীফ তার বড় ভাই নওয়াজ শরীফকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত জাটি উমরাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে তার কাছে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “এখন আমাদের সবাইকে দেশের স্বার্থে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। কোন রাজনৈতিক অঙ্গীকার বা স্বার্থ যেন আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব বা জনগণের কল্যাণের সাথে আপস না করে।”
এছাড়া, শেহবাজ শরীফ তার বড় ভাইকে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, সরকার বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তবে, বৈঠকের একটি মূল বিষয় ছিল পিটিআই’র সাথে চলমান আলোচনা। গত সপ্তাহে সরকারের কাছে পিটিআই-র দাবিগুলো তৃতীয় দফায় উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বৈঠকের মাধ্যমে পার্টি নেতৃত্বকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং আলোচনার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দিয়েছেন।
নওয়াজ শরীফ বৈঠকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, "পিএমএল-এন সরকারের অর্থনৈতিক উদ্যোগের ফলে দেশের জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে এবং সরকারের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হওয়ায় জনগণের জন্য আরও ভালো কিছু আসবে।"
এই বৈঠকটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, দেশের অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য কোনো স্থায়ী সমাধান না মিললেও এই বৈঠকটি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।