আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২১/০১/২০২৫ ১০:৩৬এ এম
টিকটকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণ জানালেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদ। শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ জারি করছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন— কেন তিনি আগে টিকটকের সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন এবং এখন কেন তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার সিদ্ধান্ত "চুক্তির ওপর নির্ভরশীল।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমি টিকটকের কার্যক্রম চালানোর আদেশে স্বাক্ষর করতে পারি বা নাও করতে পারি। যদি আমি এটি না করি, তবে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে অর্থহীন হয়ে যাবে।"
টিকটকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় চুক্তির ইঙ্গিত
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "যদি এই চুক্তি কার্যকর হয়, তবে এটি ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য তৈরি করবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই অর্থের অর্ধেক পাবে।" ট্রাম্পের মতে, টিকটক তার মুনাফার একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদান করবে। এটি শুধু টিকটকের ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের লাভজনক হবে।
চুক্তিতে সই করার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি প্রেসিডেন্ট। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি কার্যকর হলে টিকটক অ্যাপের মার্কিন সংস্করণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্পের মতে, এই চুক্তি কেবল টিকটককে মার্কিন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে না, বরং এটি প্ল্যাটফর্মটিকে আরও শক্তিশালী করবে।
শেষ মুহূর্তে বাইডেনের ক্ষমা ঘোষণাগুলোর পুনর্মূল্যায়ন
এদিকে ট্রাম্প তার পূর্বসূরি বাইডেনের শেষ মুহূর্তের ক্ষমা ঘোষণাগুলোর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, "আমাদের প্রশাসন এই ক্ষমা ঘোষণাগুলো পুনর্বিবেচনা করবে এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্ষমা দেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে।" ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তার প্রশাসনের আরও কঠোর অবস্থানকেই তুলে ধরেছে।
টিকটক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রভাব
টিকটক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং পুরো বিশ্বে টেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি দেখিয়েছে, কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তিগুলো কীভাবে নীতিমালা প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন কেবল অর্থনৈতিক লাভবান হবে না, বরং নতুন প্রযুক্তিগত সহযোগিতার দিকেও একটি সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু আপাতত এটা নিশ্চিত যে, তার এই সিদ্ধান্ত আবারও তাকে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।