বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
খালেদ মোশাররফ সোহেল
প্রকাশ ৩০/১২/২০২৪ ০৮:২৭পি এম

তালতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চুরির পণ্যের ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ: তালতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চুরির পণ্যের ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

তালতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চুরির পণ্যের ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ: তালতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চুরির পণ্যের ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
জেলা প্রতিনিধি,বরগুনা।।
বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালালের বিরুদ্ধে জনতার হাতে আটক অবৈধ পণ্যবোঝাই ট্রাক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ওই ট্রাকের পণ্য চুরি মামলার আসামি সগির হাওলাদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম এ অভিযোগ করেছেন।
যোগে বলা হয়, ঢাকার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের লিগ্যাল অফিসার গিয়াস উদ্দিন ফরাজী প্রায় দুই বছর আগে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকায় কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন করেন। পরে তিনি অকেজো ট্রাক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই রেখে চলে যান। গত ২৫ আগস্ট গিয়াস উদ্দিন এসে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহিদ খানসহ প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ওই ট্রাকের মালামাল ও পাথর চুরি হয়েছে বলে থানায় মিথ্যা মামলা করেন। তাতে আসামি করা হয় সগির হাওলাদারসহ তিনজনকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন আদালতে মনগড়া রিপোর্ট দাখিল করেন। গত ২৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন তাঁর রেখে যাওয়া ওই অকেজো ট্রাকগুলো কেটে ভাঙারি পণন্য হিসেবে অন্য দুটি ট্রাকে রাতে পাচার করছিল। টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ট্রাক দুটি আটক করে থানায় সোপর্দ করে। খবর পেয়ে আসামিদের লোকজন থানায় গিয়ে ওসিকে ওই মালামাল আলামত হিসেবে জব্দ করতে বলেন। কিন্তু ওসি তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। পরে ওসি শাহজালাল ওই কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে দর কষাকষি শেষে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ট্রাক দুটি ছেড়ে দেন। আলামত হিসেবে জব্দ না করে ওই মালামাল ছেড়ে দেওয়ার কারণে গিয়াসউদ্দিনের করা মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী আসামিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘পরিত্যক্ত টুকরো করে দুটি ট্রাকে করে রাতে পাচার করা হচ্ছিল। ট্রাক দুটি আমরা আটক করে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।’
ইউপি সদস্য জাহিদ খান বলেন, ‘আসামিপক্ষ মালামাল চুরি করে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করতে গিয়েছিল, এর প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ওই মালামালের মালিক পক্ষের লোক তালতলী থানায় মামলা করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনতার হাতে আটক ট্রাকের মালামাল বাদী গিয়াস উদ্দিনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত চাইলে বাদীপক্ষ মালামাল আদালতে দেবেন। তিনি দাবি করেন, তিনি কোনো ঘুষ নেননি এবং ঘুষের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ