সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় আলোচনার শীর্ষে ভিপি আয়নুল হক
রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, জনগণের পাশে থেকে তাদের আস্থা অর্জন করা। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় এমন একজন নেতার নাম বারবার উঠে আসছে, যিনি কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব হিসেবে তৃণমূলে দীর্ঘদিনের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হক।
ভিপি আয়নুল হকের রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় ছাত্রজীবন থেকেই। রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে তিনি বিএনপির আদর্শকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। ছাত্ররাজনীতির সেই সময় থেকেই তিনি ত্যাগ, সাহস এবং নেতৃত্বের কারণে সহপাঠী ও কর্মীদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন।
৯০ দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপির নানা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে। এ সময়ের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম তাকে গড়ে তোলে একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতায়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও যখন বিরোধীদলের নেতারা নানা বাধার মুখে পড়ছিলেন, তখন ভিপি আয়নুল হক বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থার এই ফলাফল আজও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচ্য।
চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে ওঠেন জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।
২০১৩ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি কারাবরণ করেন। দমন-পীড়ন ও মামলার মধ্যেও দল ও জনগণের পাশে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তার প্রতি মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান মৃত্যুবরণ করার পর এখন বিএনপির পক্ষ থেকে যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভিপি আয়নুল হকের বিকল্প নেই।
চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সামা সরকার বলেন, “আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের সময় ভিপি আয়নুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
রায়গঞ্জ পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান দুদু শেখ বলেন, “ভিপি আয়নুল হক এখন রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসীর রাজনৈতিক আশার প্রতীক।”
এছাড়াও রায়গঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরে আলম পালো, ধানগড়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ইউয়নিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামিদ হাসান সরকার, ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, “এ এলাকার জনগণ তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।”
ভিপি আয়নুল হক বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে জীবন বাজি রেখে জনগণের পাশে থাকব। মনোনয়ন পেলে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।” জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি চাই আমাদের প্রিয় নেতা সিরাজগঞ্জ- ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, শ্রদ্ধাভাজন মৃত. আব্দুল মান্নান ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক প্রবীণ ভোটার বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি গ্রামের রাস্তা করেছেন, মসজিদ-মাদ্রাসায় সহযোগিতা করেছেন। মনোনয়ন পেলে আমরা প্রাণভরে তাকেই ভোট দেব।”
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা হিন্দু মানুষ, আমরা চাই একটু শান্তি আর চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ। ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা কিছুই পাইনি। আয়নুল ভাই আমার প্রতিবেশি, আমরা চাই তিনি সংসদ সদস্য হয়ে আমাদের আরও সাহায্য করুন।”
চান্দাইকোনা পাবনা বাজারের কেন্দ্রীয় মন্দিরের পুরোহিত শ্রী গোপিনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিগত সরকার কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল দিয়েছে কিন্তু আমরা গরীব মানুষ আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা চাই আয়নুল ভাই এমপি হয়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি নজর রাখুন। ভোটে দাড়ালে আমরা আয়নুল ভাইকেই ভোট দিব।
এই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কণ্ঠে স্পষ্ট—ভিপি আয়নুল হক কেবল রাজনীতিবিদ নন, তিনি তাদের জীবনের অংশ। মানুষের সুখে-দুঃখে তার নিরলস উপস্থিতি সাধারণ ভোটারদের মনে এক গভীর আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
🥰🥰