close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

Sljedeći

আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও শেখ কামাল সিন্ডিকেট চক্রের জমি দখল

1,323 Pogledi· 29/08/25
Md Abu Rayhan
Md Abu Rayhan
1 Pretplatnici
1




















































আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও শেখ কামাল সিন্ডিকেট চক্রের জমি দখল


ধারাবাহিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ১ম পর্ব


নিজস্ব প্রতিবেদকের তথ্য ও ভিডিও চিত্রে দেখুন বিস্তারিত

কুমিল্লার হোমনায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বহিরাগত এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ভূমি দস্যু অরুন এবং তার ছোট ভাই শেখ কামাল বাহিনীর বিরুদ্ধে।

কুখ্যাত ভূমি দস্যু ও ভয়ংকর এক মূর্তিময় আতংকের নাম অরুন ও শেখ কামাল। বাড়ি হোমনা উপজেলার মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে। পরিচয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ার আড়ালে রয়েছে তাদের নিজস্ব দস্যু বাহিনী। এবং পিছনে রয়েছে বিএনপির বড় একটি গ্রুপের হাত। ৫ই আগস্টের পর ওই গ্রুপের ছায়া তলে অরুন আক্রমণাত্মক রূপে নিজের আত্মপ্রকাশ করেন।

বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে বিচার শালিসসহ অপরাধ মূলক সকল কর্মকান্ড থেকে অনেকটা বিরত থাকলেও। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার বিদায় নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো কায়দায় আবারও মাথাচারা দিয়ে ওঠেন অরুন। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আশ্রয় নিয়েছেন বিএনপির একটি শক্তিশালী গ্রুপের ছত্রছায়ায়।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে অরুন সরকারের বাড়ি। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি। সেই সুবাধে এলাকায় রয়েছে তার বিশাল আধিপত্য। শুধু তাই নয় নিজের এলাকার বাহিরেও ক্ষমতার প্রভাব খাটায় সে। পাশের ইউনিয়ন গুলোতেও রয়েছে তার বিস্তার। বিচার শালিস থেকে জায়গা - জমি দখলসহ এমন কোনো অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নেই যা তার হাতের ইশারা ছাড়া কিংবা না জানিয়ে সংঘঠিত হওয়ার সাহস রাখে কেউ। অরুন এতোটাই প্রভাবশালী এবং হিংস্র যে তার ভয়ে অতিষ্ঠ দুই ইউনিয়ন বাসী। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে পার্শ্ববর্তী চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ওয়াই ব্রীজের নিচে লাকড়ির দোকানের পাশে অফিস ভাড়া নেয় অরুন। এখান থেকেই তার সকল অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এ যেন সাধারণ মানুষের মূর্তিময় ভয়ংকর এক আতঙ্ক। কিন্তু তার খুঁটির জোর কোথায়? এমনটাই প্রশ্ন সুশিল সমাজ ও সচেতন মহলের। অরুন নিজেই তার পরিচয় বলে বেড়ান সারাক্ষণ। সম্প্রতি প্রবাসীর বাড়িতে চাঁদাবাজি নিয়ে হোমনা টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হলে। ওই সাংবাদিকের পিঠের চামড়া তুলে উল্টো ঝুলিয়ে রাখার হুমকি প্রদান করনে অরুন। "হুমকিতে নিজের পরিচয় বলেন, আমি ১৭ মামলার আসামী। হত্যা মামলা দিয়েও কিছুই করতে পারে নি। তোর মত সাংবাদিককে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখলে কিছুই হবে না আমার। কথা গুলো অত্যন্ত বীরদর্পেই বলেন অরুন সরকার। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো একজন মিডিয়া (সংবাদকর্মী)কেই যদি এভাবে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দেয়া হয়। তা হলে সাধারণ মানুষ মুখ খোলার সাহস পাবে কি করে! তাদের কথা কে শুনবে? কে লিখবে অসহায় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। তাদের বিচার বা কান্না শুনবার বুঝি কেউ আর থাকলো না।

অনুসন্ধানে ওঠে আসে, উপজেলার চান্দের ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মালিকানা দখলদার থাকা অবস্থায় সিরাজ মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছোট ভাই শেখ কামাল বাহিনীর নেতৃত্বে এবং তাদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক দখল নিয়ে মাটি ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ঘোষের ছেলে তরুন কান্তি ঘোষ ও মৃত মান্নান মাষ্টারের ছেলে আজিজুর রহমান ওরফে লোকা এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আদালতের ১৪৫ ধারা রায় উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে জমিতে মাটি ভরাট। এ নিয়ে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় আজিজুর রহমান ওরফে লোকা দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির দলিল জাল জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত।

জমির প্রকৃত মালিক মৃত সিরাজ মিয়ার বড় ছেলে ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল জানান, নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পুলিশের মাধ্যমে বিবাদীদের জানানো হলেও তা অমান্য করে অরুনসহ তার সহযোগীরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রাতের আধারে মাটি ভরাট করে। এবং দিনের বেলা এসে জমিতে কেউ গেলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে যান। ভুক্তভোগী পরিবার থানা পুলিশকে অভিযোগ জানালে প্রশাসন বিষয়টি দেখেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র বধু ভুক্তভোগী কুলসুম বেগম জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেখানোর পরও তারা জমি দখল নিয়ে মাটি ভরাট করে। এতে আমাদের জীবন আর সম্পত্তি দুই অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”অরুন এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে এসে জোর খাটায়। আমরা তার হাত থেকে বাচতে চাই। প্রশাসনের নিকট এর বিচার ও অরুনের শাস্তির দাবী জানাই।

আর এক ভুক্তভোগী কামাল মিয়ার ছেলে সজিব বলেন, আমি জন্মের পর থেকে দেখে আসছি। আমার বাপ - দাদারা এই জমিটি হালচাষ করে আসছেন। হঠাৎ করে অরুন বাহিনী একটি ভূয়া ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে বায়না নামা দিয়ে জমির মালিক দাবী করছেন।

জমির পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক শহিদ মিস্ত্রি নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি এখানে বাড়ি করেছি প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় হয়েছে। আসার পর থেকেই দেখছি জমিটি সিরাজ মিয়া গংদের দখলে এবং তারা চাষাবাদ করছে। এখন আবার শুনতেছি মিঠাইভাঙ্গা গ্রামের অরুন সরকার নামে এক লোক জমির মালিকানা দাবী করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে। আদালতের আদেশ কার্যকর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

তবে বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে অরুন সরকার বলেন,

এব্যাপারে হোমনা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে এখনও অবগত নই। তবে আমি খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Prikaži više

 1 Komentari sort   Poredaj po


ur gone
ur gone 2 mjeseca prije

👍

0    0 Odgovor
Prikaži više

Sljedeći