
Md Abu Rayhan
|Subscribers
Breaking news
জর্ডানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক এর তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জর্ডান বিএনপির সৌজন্যে, বর্ণাঢ্য ও জমকালো আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন নেতাকর্মীরা।
গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ছিল গৌরব,্ ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সাফল্যের ৪৭ বছর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ওইদিন দেশের সর্ব বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হাটিহাটি পা পা করে ৪৭ বৎসরে পা রাখলেন (পদার্পণ) করলেন।
তারই আলোকে দলের নিবেদিতপ্রাণ ও একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জর্ডান (বিএনপি)’র সভাপতি শাহ্ আলম প্রধান এর সভাপতিত্বে দলটির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয।
আলোচনা সভায় জর্ডান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মূকিব।
প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়াল ভিডিও বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামীম আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জর্ডান বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জর্ডান বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জর্ডান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, এনামুল হক রাজীব প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে জর্ডান (বিএনপি)’র সভাপতি শাহ্ আলম প্রধান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ সবুজ শস্য শ্যামল সমৃদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান কতৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও সুখী বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এছাড়া, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির জয় নিয়ে ঘরে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় জর্ডান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ শফিক কাজী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ইমরান খান, খাইরুল ইসলাম শান্ত, সোহেল চৌধুরী, মেহেদী হাসান সুরুজ, নাজমুল হোসেন কামাল, প্রচার সম্পাদক ইব্রাহীম মিয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক আমজাদ হোসেন প্রমুখসহ জর্ডান বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল ও শ্রমিকদল এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সীমানা নির্ধারণ কুমিল্লা - ২ হোমনা-তিতাস "পূর্ণবহাল" আওয়ামী দোসরদের আনন্দ মিছিলের প্রতিবাদে দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি’র তথ্য ও ভিডিওতে বিস্তারিত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারিতে কুমিল্লা - ২ হোমনা-তিতাস আসনটি "পূর্ণবহাল" থাকার আনন্দে বিএনপির একটি গ্রুপ আওয়ামী দোসরদের নিয়ে আনন্দ মিছিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হোমনার দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ দুলালপুর বাজার, বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তা মোড়, দৌলতপুর বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের দুলালপুরের মাটি, সেলিম ভূঁইয়ার ঘাটি, আমার নেতা, তোমার নেতা সেলিম ভূঁইয়া, সেলিম ভূঁইয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে হোমনা - মেঘনা আসন পরিবর্তন করে হোমনা-তিতাস আসন ঘোষণার খবর পেয়ে বিএনপির একটি গ্রুপ ওই রাতেই আওয়ামী দোসরদের নিয়ে এবং শুক্রবার সকালে দুলালপুর বাজারে আনন্দ মিছিল করেন। সেই মিছিলের প্রতিবাদেই দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন এ মিছিল করেন।
মিছিলে দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ হারুন, সহ সভাপতি শাহ জালাল প্রধান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়া প্রধান, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, দুলালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো.ওমর ফারুক, ছাত্রদল সভাপতি নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কৃষক দলের সভাপতি ইয়ানুছ মিয়া প্রধান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দাদন মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোসলেম মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড ঝগড়ারচর বিএনপির সভাপতি আল-মাসুদ আলমাছ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি হারুন মিয়া, জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হজরত আলী, যুবদল সভাপতি রেজাউল করিম উজ্জল, যুবদল নেতা মোস্তাক আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা সোহেল রানা, হিমেল, রুবেল,
৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অরুন সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শ্যামল মাহমুদ, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, খোকন মিয়া, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম রিপন, কৃষক দল নেতা লোকমান হোসেন প্রমুখসহ বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাঞ্ছারামপুরে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মাইক্রোবাস জব্দ ৬ মাদক কারবারি গ্রেফতার
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধির তথ্য ও ভিডিওতে বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ১৫ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিলভার কালারের নোহা মাইক্রোবাস গাড়ী জব্দ করা হয়েছে।
৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার দুপুর ১.৪৫ মিনিটের দিকে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালীন উপজেলার আইয়ুবপুর - কানাইনগর এলাকার বাঞ্ছারামপুর টু ফেরী ঘাট রাস্তার উপর ০৬ মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ (পনের) কেজি গাঁজাসহ বহনকারী একটি সিলভার কালারের নোহা মাইক্রোবাস গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন - মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দামলা তিন দোকান গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে রিয়াদ হোসেন (৩০), ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানার ডালকানগর গ্রামের আকবর হোসেন এর ছেলে মো. সালমান (২৭), শ্যামপুর থানার পাইপরাস্তা গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে মো. ইমন (২৭), গেন্ডারিয়া থানা ফায়ার সার্ভিসের পিছনে মো. হাবিব মিয়ার ছেলে আরিফ (২৭), গেন্ডারিয়া ডিআইটি প্লট ৩নং গলির মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে মো. মনজু (৩২), গেন্ডারিয়া শহিদ নগর সাহিনসাহা গলি (সাবেক বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার দরিচর খাজুরিয়া গ্রামের আলম এর ছেলে সুমন (২৮)।
এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
কুমিল্লার হোমনায় আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও শেখ কামাল সিন্ডিকেট চক্রের জমি দখল নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল হোমনা টিভি ও আই নিউজ বিডিতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিককে সনাক্ত করে দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড খ্যাত শেখ কামাল। তারা সাংবাদিক এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বলে জানান ওই পরিবার।
বাঞ্ছারামপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে জমকালো ও উৎসব মূখর এবং আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’র ফাইনাল খেলা।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর - কালিকাপুর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এবং সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মেম্বারের সভাপতিত্বে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’র ফাইনাল ম্যাচটির উদ্বোধন করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ বাসু।
ফাইনালে ওমর স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়রা মুখোমুখি হন কাকা সুপার কিংস টিমের খেলোয়াড়দের। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর খেলায় ট্রাইভেকারে ২ - ০ গোলের ব্যবধানে ওমর স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে কাকা সুপার কিংস টিম জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন সরকার প্রধান। বক্তব্যে তিনি বলেন, খেলাধুলা একটি জাতিকে আলোকিত করে, তরুণ প্রজন্মকে সুশৃঙ্খল ও সুস্থভাবে গড়ে তোলে। আজকের এই আয়োজন প্রমাণ করে, আমাদের তরুণরা এখনও খেলাধুলাকে ভালোবাসে। যদি তাদের পাশে সমাজের প্রতিটি পরিবার ও সংগঠন দাঁড়ায়, তবে আমরা মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতি থেকে নতুন প্রজন্মকে দূরে রাখতে পারব। আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের একজন নিবেদিতপ্রাণ অভিভাবক, যিনি বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তাঁর স্মৃতিকে ধারণ করেই আমাদের এ আয়োজন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ক্রীড়া ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের পাশে থাকব।
এলাকাবাসীর দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, রাধানগর - কালিকাপুর গ্রামের তরুণ এবং মেধাবী যুবকদের জন্য খেলার কোনো মাঠ না থাকায় খেলোয়াড়রা তাদের মেধাবিকশিত করতে পারছেন না। তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া - ৬ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাটি ও মানুষের নেতা অ্যাড. রফিক সিকদার এর নিকট একটি মাঠের জন্য জোর আবেদন এলাকাবাসীর। খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জয়া ট্রাভেল’স এর স্বত্ত্বাধিকারী এস এ অলি উলাহ, পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল মিয়া, সৌদিপ্রবাসী ফরিদ আহমেদ, উজানচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, উজানচর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা রুহুল আমিন সরকার, উজানচর ইউনিয়ন যুবদল নেতা বাবুল মিয়া প্রমূখ।
চ্যাম্পিয়ন কাকা সুপার কিংসের দলীয় ক্যাপ্টেন মাহি, সুজন, কাউসার, শিপন, শামীম, স্বপন।
রানার্স আপ দলের ওমর স্পোটিং ক্লাবের দলীয় ক্যাপ্টেন ওমর ফারুক, কবির হোসেন, হাবিবুল্লাহ, সুমন, নাজিমুদ্দিন, সজল। উক্ত খেলায় ধারাভাষ্যকার ছিলনে হোমনার মেহিদি হাসান এম বাপ্পি।
বাঞ্ছারামপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক গাড়ি জব্দ
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধির তথ্য চিত্রে বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা ও একটি নোয়া মাইক্রোবাসসহ সাইফুল ইসলাম (২১) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২:৪০ মিনিটের দিকে পৌরসভার দূর্গারামপুর সেতু এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জামিল খান এর দিক নির্দেশনায় এসআই (নিঃ) মোঃ হাসান উদ্দিন এবং এ এস আই মাসুদ ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম সফল অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল হতে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তার মুড়া গ্রামের নসু মিয়া ও রানোয়ারা বেগমের ছেলে মাদক কারবারি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এ সময় সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালালিয়ে ২০ কেজি গাঁজাসহ সাইফুলকে আটক করেন থানা পুলিশ। পরে মাদকসহ গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, “আটককৃত আসামিকে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।”
আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও শেখ কামাল সিন্ডিকেট চক্রের জমি দখল
ধারাবাহিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ১ম পর্ব
নিজস্ব প্রতিবেদকের তথ্য ও ভিডিও চিত্রে দেখুন বিস্তারিত
কুমিল্লার হোমনায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বহিরাগত এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ভূমি দস্যু অরুন এবং তার ছোট ভাই শেখ কামাল বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কুখ্যাত ভূমি দস্যু ও ভয়ংকর এক মূর্তিময় আতংকের নাম অরুন ও শেখ কামাল। বাড়ি হোমনা উপজেলার মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে। পরিচয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ার আড়ালে রয়েছে তাদের নিজস্ব দস্যু বাহিনী। এবং পিছনে রয়েছে বিএনপির বড় একটি গ্রুপের হাত। ৫ই আগস্টের পর ওই গ্রুপের ছায়া তলে অরুন আক্রমণাত্মক রূপে নিজের আত্মপ্রকাশ করেন।
বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে বিচার শালিসসহ অপরাধ মূলক সকল কর্মকান্ড থেকে অনেকটা বিরত থাকলেও। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার বিদায় নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো কায়দায় আবারও মাথাচারা দিয়ে ওঠেন অরুন। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আশ্রয় নিয়েছেন বিএনপির একটি শক্তিশালী গ্রুপের ছত্রছায়ায়।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে অরুন সরকারের বাড়ি। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি। সেই সুবাধে এলাকায় রয়েছে তার বিশাল আধিপত্য। শুধু তাই নয় নিজের এলাকার বাহিরেও ক্ষমতার প্রভাব খাটায় সে। পাশের ইউনিয়ন গুলোতেও রয়েছে তার বিস্তার। বিচার শালিস থেকে জায়গা - জমি দখলসহ এমন কোনো অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নেই যা তার হাতের ইশারা ছাড়া কিংবা না জানিয়ে সংঘঠিত হওয়ার সাহস রাখে কেউ। অরুন এতোটাই প্রভাবশালী এবং হিংস্র যে তার ভয়ে অতিষ্ঠ দুই ইউনিয়ন বাসী। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে পার্শ্ববর্তী চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ওয়াই ব্রীজের নিচে লাকড়ির দোকানের পাশে অফিস ভাড়া নেয় অরুন। এখান থেকেই তার সকল অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এ যেন সাধারণ মানুষের মূর্তিময় ভয়ংকর এক আতঙ্ক। কিন্তু তার খুঁটির জোর কোথায়? এমনটাই প্রশ্ন সুশিল সমাজ ও সচেতন মহলের। অরুন নিজেই তার পরিচয় বলে বেড়ান সারাক্ষণ। সম্প্রতি প্রবাসীর বাড়িতে চাঁদাবাজি নিয়ে হোমনা টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হলে। ওই সাংবাদিকের পিঠের চামড়া তুলে উল্টো ঝুলিয়ে রাখার হুমকি প্রদান করনে অরুন। "হুমকিতে নিজের পরিচয় বলেন, আমি ১৭ মামলার আসামী। হত্যা মামলা দিয়েও কিছুই করতে পারে নি। তোর মত সাংবাদিককে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখলে কিছুই হবে না আমার। কথা গুলো অত্যন্ত বীরদর্পেই বলেন অরুন সরকার। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো একজন মিডিয়া (সংবাদকর্মী)কেই যদি এভাবে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দেয়া হয়। তা হলে সাধারণ মানুষ মুখ খোলার সাহস পাবে কি করে! তাদের কথা কে শুনবে? কে লিখবে অসহায় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। তাদের বিচার বা কান্না শুনবার বুঝি কেউ আর থাকলো না।
অনুসন্ধানে ওঠে আসে, উপজেলার চান্দের ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মালিকানা দখলদার থাকা অবস্থায় সিরাজ মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছোট ভাই শেখ কামাল বাহিনীর নেতৃত্বে এবং তাদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক দখল নিয়ে মাটি ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ঘোষের ছেলে তরুন কান্তি ঘোষ ও মৃত মান্নান মাষ্টারের ছেলে আজিজুর রহমান ওরফে লোকা এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আদালতের ১৪৫ ধারা রায় উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে জমিতে মাটি ভরাট। এ নিয়ে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় আজিজুর রহমান ওরফে লোকা দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির দলিল জাল জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত।
জমির প্রকৃত মালিক মৃত সিরাজ মিয়ার বড় ছেলে ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল জানান, নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পুলিশের মাধ্যমে বিবাদীদের জানানো হলেও তা অমান্য করে অরুনসহ তার সহযোগীরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রাতের আধারে মাটি ভরাট করে। এবং দিনের বেলা এসে জমিতে কেউ গেলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে যান। ভুক্তভোগী পরিবার থানা পুলিশকে অভিযোগ জানালে প্রশাসন বিষয়টি দেখেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র বধু ভুক্তভোগী কুলসুম বেগম জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেখানোর পরও তারা জমি দখল নিয়ে মাটি ভরাট করে। এতে আমাদের জীবন আর সম্পত্তি দুই অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”অরুন এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে এসে জোর খাটায়। আমরা তার হাত থেকে বাচতে চাই। প্রশাসনের নিকট এর বিচার ও অরুনের শাস্তির দাবী জানাই।
আর এক ভুক্তভোগী কামাল মিয়ার ছেলে সজিব বলেন, আমি জন্মের পর থেকে দেখে আসছি। আমার বাপ - দাদারা এই জমিটি হালচাষ করে আসছেন। হঠাৎ করে অরুন বাহিনী একটি ভূয়া ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে বায়না নামা দিয়ে জমির মালিক দাবী করছেন।
জমির পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক শহিদ মিস্ত্রি নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি এখানে বাড়ি করেছি প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় হয়েছে। আসার পর থেকেই দেখছি জমিটি সিরাজ মিয়া গংদের দখলে এবং তারা চাষাবাদ করছে। এখন আবার শুনতেছি মিঠাইভাঙ্গা গ্রামের অরুন সরকার নামে এক লোক জমির মালিকানা দাবী করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে। আদালতের আদেশ কার্যকর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
তবে বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে অরুন সরকার বলেন,
এব্যাপারে হোমনা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে এখনও অবগত নই। তবে আমি খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
হোমনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক এর তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত
কুমিল্লার হোমনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ আগস্ট ২০২৫ সোমবার দুপুরে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পুলিশের।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আক্তার হোসেন এর সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র আমজাদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান, মৃত রেহমান মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন, মৃত গফুর মিয়ার পুত্র অদুদ মিয়া, নুরু মিয়ার পুত্র প্রিন্সের সাথে অনেক দিন ধরে শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। সেই শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুর আনুমানিক ১.৩০ মিনিটের দিকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দা, ছুরি, লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে অর্তকিত ভাবে আক্তার মিয়ার বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এবং তাদের মারধর করলে চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ও আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এসময় হামলাকারীরা বিল্ডিংয়ের থাইগ্লাস ভাঙ্গিয়া ৭ হাজার টাকা এবং ঘরে ডুকে স্ট্রীলের আলমারীর তালা ভেঙ্গে ড্রয়ার থেকে ৯০ হাজার টাকা ও সোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া আনুমানিক ৩০ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এ বিষয়ে আক্তার এর স্ত্রী রাশিদা বাদী হয়ে ওই দিনই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বাদী রাশিদা বলেন, বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র আমজাদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান, মৃত রেহমান মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন, মৃত গফুর মিয়ার পুত্র অদুদ মিয়া, নুরু মিয়ার পুত্র প্রিন্সের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। সেই শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুরে আমাদের বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায় তারা। এবং ঘরে ডুকে ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ লুটপাট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। আমাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি নজু মিয়ার স্ত্রী শারমিন, মানিক মিয়ার স্ত্রী সুজনা, কাশেম এর পুত্র মজিবর, সফিকুল ইসলাম সাফির পুত্র মিজানুর রহমান মির্জা, মৃত মুনছর আলীর পুত্র আরফত আলীসহ আরও লোকজন এগিয়ে আসলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের নিকট আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
আক্তার মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুরে তারা আমার বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায়। এবং ঘরে ডুকে ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ লুটপাট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। আমি এর সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
কুখ্যাত ভূমি দস্যু অরুন তার খুটির জোর কোথায় ? সাংবাদিককে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি
রিপোর্টঃ - বিভাগীয় প্রধান চট্টগ্রাম, আই নিউজ বিডি
কুখ্যাত ভূমি দস্যু ও ভয়ংকর এক মূর্তিময় আতংকের নাম অরুন। বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে। পরিচয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ার আড়ালে রয়েছে তার নিজস্ব দস্যু বাহিনী। এবং পিছনে রয়েছে বিএনপির বড় একটি গ্রুপের হাত। ৫ই আগস্টের পর ওই গ্রুপের ছায়া তলে অরুন আক্রমণাত্মক রূপে নিজের আত্মপ্রকাশ করেন।
বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে বিচার শালিসসহ অপরাধ মূলক সকল কর্মকান্ড থেকে অনেকটা বিরত থাকলেও। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার বিদায় নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো কায়দায় আবারও মাথাচারা দিয়ে ওঠেন অরুন। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আশ্রয় নিয়েছেন বিএনপির একটি শক্তিশালী গ্রুপের ছত্রছায়ায়।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে অরুন সরকারের বাড়ি। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি। সেই সুবাধে এলাকায় রয়েছে তার বিশাল আধিপত্য। শুধু তাই নয় নিজের এলাকার বাহিরেও ক্ষমতার প্রভাব খাটায় সে। পাশের ইউনিয়ন গুলোতেও রয়েছে তার বিস্তার। বিচার শালিস থেকে জায়গা - জমি দখলসহ এমন কোনো অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নেই যা তার হাতের ইশারা ছাড়া কিংবা না জানিয়ে সংঘঠিত হওয়ার সাহস রাখে কেউ। অরুন এতোটাই প্রভাবশালী এবং হিংস্র যে তার ভয়ে অতিষ্ঠ দুই ইউনিয়ন বাসী। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে পার্শ্ববর্তী চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ওয়াই ব্রীজের নিচে লাকড়ির দোকানের পাশে অফিস ভাড়া নেয় অরুন। এখান থেকেই তার সকল অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এ যেন সাধারণ মানুষের মূর্তিময় ভয়ংকর এক আতঙ্ক। কিন্তু তার খুঁটির জোর কোথায়? এমনটাই প্রশ্ন সুশিল সমাজ ও সচেতন মহলের। অরুন নিজেই তার পরিচয় বলে বেড়ান সারাক্ষণ। সম্প্রতি প্রবাসীর বাড়িতে চাঁদাবাজি নিয়ে হোমনা টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হলে। ওই সাংবাদিকের পিঠের চামড়া তুলে উল্টো ঝুলিয়ে রাখার হুমকি প্রদান করনে অরুন। "হুমকিতে নিজের পরিচয় বলেন, আমি ১৭ মামলার আসামী। হত্যা মামলা দিয়েও কিছুই করতে পারে নি। তোর মত সাংবাদিককে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখলে কিছুই হবে না আমার। কথা গুলো অত্যন্ত বীরদর্পেই বলেন অরুন সরকার। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো একজন মিডিয়া (সংবাদকর্মী)কেই যদি এভাবে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দেয়া হয়। তা হলে সাধারণ মানুষ মুখ খোলার সাহস পাবে কি করে! তাদের কথা কে শুনবে? কে লিখবে অসহায় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। তাদের বিচার বা কান্না শুনবার বুঝি কেউ আর থাকলো না। একাধিক অভিযোগ থাকার পরও রহস্যজনক কারনে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল - আমিন সরকারের উদ্যোগে বিএনপি নেতা অ্যাড. রফিক সিকদার - এর জন্মদিন পালন
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধির তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল - আমিন সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা অ্যাড. রফিক সিকদার - এর জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
২৬শে আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল - আমিন সরকার এর উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সহযোগি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের আয়োজনে জন্মদিনের কেক কেটে ও জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা অ্যাড. রফিক সিকদার - এর জন্মদিন পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে হোয়াটস্অ্যাপে ভিডিওকলের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নিজের জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান অ্যাড.রফিক সিকদার।
এসময় উজানচর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম - আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক দল নেতা রুহুল আমিন সরকার, যুবদল নেতা বাবুল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক, ইসমাইল, সজীব আহমেদ, সাব্বির সরকার, শামীমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বাঞ্ছারামপুরে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ বাসু, যুবদলের আহবায়ক ইমান আলী এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জামাল এর উদ্যোগে বাঞ্ছারামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন বটতলায় উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম -আহবায়ক মোহাম্মদ হানিফ মিয়ার কার্যালয়ে বিএনপি নেতা অ্যাড. রফিক সিকদার - এর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান জালু, পৌর কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মীর বকুল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, পৌর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মোমেন, পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক রাসেল, উজানচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সুজন মিয়া, পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কালা মিয়া, মনিকপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা সবুজ মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
ছবি নিয়ে ঘৃণ রাজনীতি মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে হোমনায় ইউনিয়ন বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধির তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম-আহবায়ক ও দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ হারুন এবং সাধরণ সম্পাদক জামাল সরকারসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কুমিল্লা - ২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী পরিচয়ে গণসংযোগকালে মনোয়ার সরকার নামে এক ব্যক্তি ছবি উঠিয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
২৭ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার দুলালপুর মধ্য বাজার জনতা ব্যাংকের নিচে অত্র ইউনিয়ন বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ হারুন, সাধরণ সম্পাদক জামাল সরকার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, কৃষক দলের সভাপতি ইউনুছ মিয়া প্রধান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল মনোয়ার সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি হারুন অর রশিদ হারুন এবং সাধরণ সম্পাদক জামাল সরকার ছবি উঠানোর বিষয়টি মিথ্যা অপপ্রচার দাবী করে বলেন, মনোয়ার সরকার তার সমর্থিত লোকজন নিয়ে হঠাৎ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসেন। তখন সৌজন্য রক্ষার্থে আমরা তাকে চায়ের আপ্যায়ন করলে। সেই সুযোগে কিছু ছবি উঠিয়ে গণমাধ্যম, ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়। ভিত্তিহীন এসব সংবাদের সঙ্গে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মনোয়ার সরকারকেও আমরা তেমন ভাবে চিনি না। সে ছবি উঠিয়ে সাংবাদিকদের ভুল এবং মিথ্যা বিভ্রান্ত কব তথ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেয়। যা ঘৃণ রাজনীতি ও মিথ্যা তথ্য প্রচার আইনলঙ্ঘন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানাই।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, মনোয়ার একজন প্রতারক দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা তাকে এই এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। এবং আড়ালে যদি কোনো নেতাকর্মী তার সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখে কিংবা ছবি উঠায় তা হলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দুলালপুর ইউনিয়ন বিএনপি। আমাদের নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। আমরা তার নেতৃত্বেই রাজনৈতিক পথে চলবো।
এসময় দুলালপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দাদন মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন (মিষ্টার), ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোসলেম, ৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শ্যামল মাহমুদ, ইউনিয়ন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঙ্গল মিয়া প্রমুখসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইকে পেট কেটে ভুরি বের করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ আগস্ট রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় মন্দিরের সামনে। নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা (৬০) ওই গ্রামের মৃত চুনু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সময় রফিকুল ইসলামের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়, এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সম্পর্কে নিহতের চাচাতো ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ছিলো।এজন্য একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলবে এটা দুঃখজনক।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, "আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কবির হোসেন সহ তিন পরিবারের কয়েকজন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। পঞ্চবটি ঔষধ আনতে গেলে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা করে "রাধা মন্দিরের সামনে" আমার স্বামীর পেট কেটে ভুরি বের করে মেরে ফেলে। খুনিরা বাড়িতে এসেও আবার আমাদেরকে মারধর করে এবং দলবলে হামলা চালায়। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।"
এ বিষয়ে হোমনা থানার অঅফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম আই নিউজ বিডিকে বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের প্ররোচনায় এঘটনা ঘটে নিহতের স্ত্রীর দাবি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।