ডেঙ্গু: নতুন মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ৮৮; হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৮৮তে পৌঁছেছে। নতুন করে ৩৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন এবং রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৩ হাজার ৯৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৬১.৪ শতাংশ এবং নারী ৩৮.৬ শতাংশ।
ডেঙ্গু একটি এডিস মশাবাহিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যান। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক রক্তক্ষরণ বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নিতে পারে।
ডেঙ্গু ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ রয়েছে এবং একটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। অন্য সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা পাওয়া যায়। ভিন্ন সেরোটাইপের সংক্রমণে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন টেস্ট ও ভাইরাসের এন্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধী টিকা অনুমোদিত হলেও এটি একবার সংক্রমিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচা। মশার বংশবিস্তারের উপযোগী স্থানে আটকে থাকা পানি অপসারণ করা, এবং শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢাকা পোশাক পরিধান করা এ বিষয়ে সাহায্য করে।