আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৫/০১/২০২৫ ০৬:১১পি এম
সংবিধানের তিন মূলনীতি বাদ, নতুন চার মূলনীতির প্রস্তাব: গণতন্ত্র বহাল রেখে ঐতিহাসিক সুপারিশ!
সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। গণতন্ত্র বহাল রেখে প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন পাঁচটি মূলনীতি, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান সংবিধানের চার মূলনীতি—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের সংবিধানে এই নীতিগুলো গৃহীত হয়। তবে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে গণতন্ত্র ছাড়া বাকি তিনটি মূলনীতি বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন মূলনীতি হলো—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ বাদ দিয়ে সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদ সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি গণভোট চালুর প্রস্তাব এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সুপারিশও তুলে ধরেন।
এছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের আরও তিনটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাবগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষণ:
সংবিধানের এই সংস্কার প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।