আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১২/০১/২০২৫ ১১:০০এ এম
কুয়েতে ৮০ বাংলাদেশি শ্রমিকের সমস্যা সমাধানে দূতাবাসের উদ্যোগ, কি ঘটল তাদের ভাগ্যে?
কুয়েতে কর্মরত ৮০ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য এখন বাংলাদেশ দূতাবাসের হাতেই! কুয়েতের ক্লিনটি জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড ক্লিনিং কোম্পানির এই শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ৭ জানুয়ারি তারা কর্মবিরতি দিয়ে দূতাবাসে আসেন, তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান দাবি করেন। দূতাবাসের শ্রম মিনিস্টার আবুল হোসেন জানান, শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়।
শ্রমিকরা তাদের ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ, আকামা জটিলতা, সিভিল আইডি এবং বেতন নিয়মিত পরিশোধের দাবি করেন। তবে দূতাবাসের আশ্বাস পাওয়ার পরেও তারা পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার অফিসে গিয়ে আবার একই অভিযোগ করেন, যা স্থানীয় আইনের বিরোধী।
কীভাবে এই ৮০ শ্রমিকের ভাগ্য বদলাতে পারবে দূতাবাস? ভবিষ্যত তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে? আগামী ১০ জানুয়ারি তাদেরকে দেশে পাঠানোর জন্য বিমান টিকিটও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে দেশে ফিরে যেতে চান না, কারণ তারা কুয়েতে আসতে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করেছেন।
এদিকে, কুয়েতের বাংলাদেশি শ্রমবাজারে বিশেষ অনুমোদন ছাড়া ভিসা পাওয়া প্রায় অসম্ভব, ফলে শ্রমিকরা উচ্চ খরচের শিকার হচ্ছেন। আবার, একাধিক অভিযোগের পর কুয়েত প্রশাসন কথিত ভিসা দালাল বেদু ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থে তারা সর্বদা সেবামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।