আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১২/০১/২০২৫ ১০:৪৮এ এম
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগের দাবি জোরালো
যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সম্পদ গোপন ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে, যার কারণে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক তার ক্ষমতাচ্যুত খালা শেখ হাসিনার এক সহযোগীর কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে তথ্য গোপন রেখেছেন।
এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করতে ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এটি সময়ের দাবি যে, টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।" এছাড়া, টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সরকারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গৃহীত হয়েছে। এ বিষয়ে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান মন্তব্য করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে, নতুবা মন্ত্রিসভায় তার অবস্থান টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।
এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত নন এবং তিনি তার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য স্বেচ্ছায় আবেদন করেছেন। তবে, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের পর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন ব্যক্তিদের নামও ইতোমধ্যেই শর্টলিস্ট করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। যদিও, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে সরানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।