শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১০/০১/২০২৫ ০৬:৪৯পি এম

তুরস্কের প্রতি বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান শিল্প কারখানা স্থানান্তরের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত

তুরস্কের প্রতি বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান শিল্প কারখানা স্থানান্তরের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দেশটির শিল্প কারখানা এবং প্রযুক্তি বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করার জন্য। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক যেন বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসে এবং বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ এবং এখানে বিপুল পরিমাণ তরুণ জনগণের উপস্থিতি রয়েছে। আমরা এই তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চাই। আমি তুরস্কের সহায়তা চাই যাতে আমাদের যুবকরা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই শক্তিশালী এবং আমরা এই সম্পর্ককে আরো বিস্তৃত করতে চাই।” তুরস্কের প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে এবং তুরস্কের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, “আপনারা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বনেতৃত্ব দিচ্ছেন। আপনি আপনার প্রতিরক্ষা শিল্প এখানে স্থাপন করতে পারেন, এবং আমরা আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সহযোগিতা শুধুমাত্র পোশাক শিল্পে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে না; এটি স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রসারিত হতে পারে।

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাত বলেন, “আমরা ভারতসহ বৃহৎ বাজারগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে পারি এবং বাংলাদেশে আমাদের আমদানি বৃদ্ধি করতে চাই। পাশাপাশি, বাংলাদেশ এবং তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারি।”

২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৫৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং আমদানি ছিল প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তুরস্কের প্রায় ২০টি বড় কোম্পানি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এই সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে তার আগের টেলিফোন আলাপের কথা স্মরণ করেন, যা আগস্ট মাসে হয়েছিল। অক্টোবর মাসে তুরস্কের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ