শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১০/০১/২০২৫ ০৬:৪৪পি এম

কক্সবাজারে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ড

কক্সবাজারে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ড
কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী (৫৪) কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর পরিবার ও স্বজনরা এই হত্যাকাণ্ডকে একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, গোলাম রব্বানীকে খুলনায় তাঁর শত্রুরা শুটার ভাড়া করে হত্যা করেছে। তবে সেই শত্রুদের পরিচয় তারা প্রকাশ করতে চাননি।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রব্বানী কক্সবাজারের সিগাল হোটেলের সামনে ঝাউবাগানের কাছে কাঠের সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। রব্বানীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাম রব্বানী খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এবং গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অপসারণ করেছিল। ৮ জানুয়ারি কক্সবাজারে এসে তিনি ব্যবসা বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ইফতেখার ওরফে চালুসহ কয়েকজনের সঙ্গে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। তাদের মাধ্যমেই সম্ভবত তাকে টোপ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে আগে থেকেই শুটার প্রস্তুত ছিল।

এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে কক্সবাজার থেকে সাবেক কাউন্সিলর হাসান ইফতেখারকে আটক করেছে র‍্যাব। গোলাম রসুল, রব্বানীর বড় ভাই, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে খুলনা ও কক্সবাজারের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম রব্বানী বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুদের নিশানায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের চেষ্টা হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৫ সালের শহীদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িত ছিল। রব্বানীর পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

রব্বানীর বাবা গোলাম আকবর বলেন, "আমার ছেলে অত্যন্ত সৎ ছিল এবং সবসময় মানুষের জন্য কাজ করেছে। তার উপর এই হামলা আমাদের এলাকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল। যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হোক।" প্রতিবেশীরা জানান, রব্বানী এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন, তবে তার প্রভাব অনেক সময় তার শত্রু সৃষ্টি করেছিল।

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি, তবে পরিবার এবং স্থানীয় প্রশাসনের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ