শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১০/০১/২০২৫ ০৬:৪৫পি এম

হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন: নাটোরে মহাশ্মশানে তরুণের মৃত্যু, চুরির পর রক্তাক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা

হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন: নাটোরে মহাশ্মশানে তরুণের মৃত্যু, চুরির পর রক্তাক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা
নাটোর শহরের মহাশ্মশানে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। তরুণ চন্দর দাসকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফাত হুসাইন জানিয়েছেন, ‘চুরি করতে দেখে ফেলায়’ তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে সবুজ হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ঘটনার মূল অভিযুক্ত।

২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শহরের মহাশ্মশান মন্দিরের বারান্দায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় তরুণ চন্দর দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। চন্দর দাস আলাইপুর ধোপাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন এবং মাঝে মাঝে তিনি মন্দিরে রাত কাটাতেন। তার ছেলে তপু কুমার দাস সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসপি মারুফাত হুসাইন বলেন, ২০ ডিসেম্বর রাতে সবুজ হোসেন ও তার পাঁচ সহযোগী শ্মশানের পাশে একটি লেবুবাগান থেকে লেবু চুরি করেন। তারপর তারা মন্দিরের গ্রিল ভেঙে টাকা এবং কাঁসার থালাবাসন চুরি করার পরিকল্পনা করে। চুরির সময় মন্দিরে রাত কাটাতে আসা তরুণ চন্দর দাস চোরদের দেখে ফেলেন এবং সে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চোরেরা তাকে ধরতে সক্ষম হয় এবং হাত-মুখ বেঁধে রাখে। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এসপি মারুফাত আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না এবং নিহত ব্যক্তির সঙ্গে চোরদের কোনো বিরোধও ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা পুলিশের তদন্তকে জটিল করেছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।

সবুজ হোসেনের গ্রেপ্তার হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাঁর গতিবিধি অনুসরণ করে, তাঁকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত এলাকায় গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া সবুজ হোসেন পুলিশের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন, যা সত্যতা পেয়ে যাচাই করা হয়েছে। পুলিশ এখনো অন্য পাঁচজনকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ