- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
কুতুবদিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি
॥
কুতুবদিয়ায় মডেল
মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের মান রক্ষা না করা, ছাদে সঠিক নিয়মে পানি না দেওয়া এবং
পর্যাপ্ত তদারকির অভাব নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দেরিতে শুরু হওয়া
এই নির্মাণকাজে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মসজিদের ৩ তলার ছাদ ঢালাই করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী
ছাদ ঢালাইয়ের পর অন্তত ২৮ দিন পানিতে ডুবিয়ে রাখার কথা থাকলেও কেবল দু’দিন বৃষ্টির পানি জমে ছিল। পরে ৩/৪ দিন
কিছুটা পানি দেওয়া হলেও বেশিরভাগ সময় ছাদ শুকনো ছিল। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা
যায়, বিশাল
ছাদের এক পাশে সামান্য পানি থাকলেও বাকি অংশ শুকিয়ে ফেটে গেছে। এদিকে পিলারের কাজও
দায়সারা ভাবে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বড়ঘোপ বাজার
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন,
“মডেল
মসজিদ নির্মাণে সঠিক তদারকির কেউ নেই। ছাদে পানি না দেওয়ায় ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে।
আমরা বারবার বললেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে ইসলামিক
ফাউন্ডেশনের স্থানীয় কেয়ারটেকার শামসুল আলম বলেন, “অনিয়ম করে দুর্বল মসজিদ নির্মাণ হলে তা
সবার জন্য ক্ষতিকর হবে। এব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।”
অন্যদিকে, পানির দায়িত্বে থাকা মিস্ত্রি শাকের
উল্লাহ দাবি করেন, বৃষ্টির
পানিসহ নিয়মিত ছাদে পানি দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজ চলমান থাকায় কয়েকটি কাঠামোর বাঁধ
ভেঙে যাওয়ায় কোথাও কোথাও পানি শুকিয়ে গেছে।
সাইট ইঞ্জিনিয়ার
জাকির হোসেন বলেন, “সিডিউল অনুযায়ী কাজ চলছে। পিলারে প্রয়োজনীয় রিংবাঁধন দিয়েই
ফাইনাল কাজ সম্পন্ন করা হয়।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
মেসার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-এর পক্ষে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেন জানান, “পিলারে কখনো দু’একটি রিংবাঁধ গ্যাপ থাকতে পারে। তবে
নিয়মমাফিক কাজই চলছে। রাতে ছাদে পানি দেওয়া হয়।”
স্থানীয়রা বলছেন,
দ্রুত যথাযথ তদারকি
নিশ্চিত না হলে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাবে।